আর্টিকেল লেখার গাইডলাইন (লিখুন আমাদের সাথে)

আমাদের সাইটে নিয়মিত লেখক হিসেবে যাদের নির্বাচিত করা হয়েছে তাদের অভিনন্দন। ইতিমধ্যেই আপনাদের প্রত্যেকের নামে আলাদা আলাদা একাউন্ট খুলে ইউজার নেম / পাসওয়ার্ড আপনাদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পৌছে দেয়া হয়েছে। তবে আপনাদের অনেকেই হয়তো সাইটে লেখা পোস্ট করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। আমরা আজ ধারাবাহিক ভাবে একটি আর্টিকেল লেখার পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

লগ ইন 

আমাদের ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে লগ ইন করতে আপনাকে যে কোন ব্রাউজার থেকে https://gstresult.com/wp-admin লিংকে ঢুকতে হবে অথবা লিংকটি কপি করে আপনার ডিভাইসের যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে এড্রেস বারে পেস্ট করে এন্টার চাপতে হবে। লিংকে ঢুকলেই ছবির মতো একটি পেইজ দেখা যাবে।

ইতিমধ্যেই আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে আপনার আইডি, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড পৌছে দেয়া হয়েছে।  প্রথমেই আপনাকে দেয়া আইডির ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সাইটের এডমিন প্যানেল থেকে লগ ইন করে নিন। ইউজার নেমের বদলে মেইলও ব্যবহার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যে ইমেইল দিয়ে আমাদের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন, সেই মেইল আইডিটিই ব্যবহার করতে হবে। সফলভাবে লগ ইন হলে আপনাকে ড্যাশবোর্ডে নিয়ে যাবে। সেখানে অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। এডমিন রোলে লগ ইন করার পর একটি নতুন ব্লগ পোস্ট করার পরিপূর্ণ প্রক্রিয়াটিই আমরা ব্যাখ্যা করবো পর্যায়ক্রমে।

কীভাবে নতুন পোস্ট লিখবেন?

লগ ইন করার পর ছবির মতো একটি পেইজ দেখতে পাবেন।  বাম দিকের উপরের কোণায় থাকা মেন্যু বাটনে (ছবিতে মার্ক করা) ক্লিক করুন।

মেন্যু বাটনে ক্লিক করলে এমন একটি সাইডবার ওপেন হবে। ছবিতে চিহ্নিত অংশ অর্থাৎ পোস্ট বাটনে ক্লিক করুন।

সাইডবারে ড্যাশবোর্ডের নীচে থাকা ‘পোস্ট’ বাটনে ক্লিক করলে দুটো ড্রপডাউন সাবমেন্যু দেখাবে, ‘অল পোস্ট’ এবং ‘এ্যাড নিউ’।

বুঝতেই পারছেন, নতুন পোস্ট লিখতে আপনাকে ‘এ্যাড নিউ’ বাটন চাপতে হবে।

শিরোনাম / টাইটেল 

সাবমেন্যু ‘এ্যাড নিউ’ অপশনে ক্লিক করলে নতুন পোস্ট লেখার একটি পেইজ আসবে ছবিটির মতো, প্রথমেই টাইটেল লেখা বক্সে আপনার লেখার একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম দিতে হবে।

আপনি যে শিরোনামে আর্টিকেলটি প্রকাশ করতে চান, তা উপরের ছবিতে দেখানো বক্সটিতে লিখতে হবে।

কন্টেন্ট বডিতে মূল লেখা 

কন্টেন্ট বডিতে (ছবিতে দেখানো সাদা বক্সকেই কন্টেন্ট বডি বলা হয়)  আপনার মূল আর্টিকেলটি লিখতে হবে, মোট কত শব্দ হচ্ছে তাও আপনি নীচে ওয়ার্ড কাউন্ট থেকে দেখে নিতে পারবেন।

যেহেতু আমাদের উদ্দেশ্য লেখাটিকে যত বেশি সম্ভব মানুষের সামনে নিয়ে আসা এবং একই সাথে আর্টিকেলটি নান্দনিক ও  আকর্ষণীয় করে তোলা পাঠকের কাছে, তাই আমাদের আরো কয়েকটি কাজ পোস্ট করার সাথে সাথে শিখে প্রয়োগ করতে হবে।

আর্টিকেলকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য যেসব প্রক্রিয়া আমরা কন্টেন্ট বডিতে যোগ করার যেসব ফিচার আপনাকে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, সেসব ফিচার ধারাবাহিক ভাবে নীচে বর্ণনা করা হলো,

হেডিং

পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে আমরা যেহেতু আর্টিকেলকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে ফেলি, প্রতিটা ভাগকে যদি একটি শিরোনামে আবদ্ধ করতে চাই লেখার ভেতর, তাহলে স্পেসিফিক পার্টগুলো বুঝতেও সুবিধে হবে।

শিরোনামের লাইনটি মার্ক করে স্ক্রল করে উপরে চলে যাবো, ছবিতে দেখানো ভিজুয়াল অপশন গুলো থেকে প্যারাগ্রাফ লেখা বাটনে ক্লিক করবো।

প্যারাগ্রাফ বাটনে ক্লিক করার পর পছন্দ মতো আকারে হেডলাইনের জন্য h1 / h2 / h3 / h4 / h5 / h6 ইত্যাদি থেকে যে কোন একটি হেডলাইন সিলেক্ট করে দিবো। Headline 1 এ সবচেয়ে বড় ফন্টে হেডিং হবে, তারপর ধারাবাহিক ভাবে তুলনামূলক ছোট হতে থাকবে, ছবিতে যেমন দেখছেন।

তারপর এন্টার চেপে নীচের লাইনে গিয়ে নরমাল ফন্টে বিস্তারিত প্যারাগ্রাফ ফরম্যাটে লিখবো, উপরে দেয়া হেডিং সংক্রান্ত লেখা শেষ হলে পুনরায় পরবর্তী হেডিং সিলেক্ট করবো একই প্রক্রিয়ায়, তারপর সেই হেডিং অনুসারে আবার লিখতে শুরু করবো।

হেডিং দেয়ার পর যদি একই হেডিং এর আন্ডারে সাব হেডিং এর প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যই হেডিং এর তুলনায় ছোট ফন্টের একটি সাব হেডিং সিলেক্ট করলে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

এছাড়া লেখার শুরুতে একটি ছোট ভূমিকা দিয়ে শুরু করলে এবং শেষে উপসংহার টেনে লেখাটিকে আরো বেশি আকর্ষণীয় ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলা যায়।

ছবি / ভিডিও যোগ করা 

ফিচার ইমেজ ছাড়াও লেখার বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে ছবি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পাঠককে লেখার সাথে এনগেজড করতে লেখার পাশাপাশি ভিজ্যুয়াল এট্রাকশন তৈরীতেও দারুণ ভূমিকা রাখে। আর টানা লেখা পড়ে যেতে কিছুটা ক্লান্তি ও একঘেয়েমি চলে আসতে পারে, একঘেয়েমি কাটিয়ে বৈচিত্র্য আনতে লেখার মাঝে ছবি বেশ ইফেক্টিভ হয়ে উঠতে পারে।

add media

লেখার যে পর্যায়ে ছবির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন, লেখার ঠিক সে জায়গাতেই ছবি যোগ করতে হবে। যেখানে ছবি যোগ করতে চান, সেখানে ক্লিক করে স্ক্রল করে উপরে গিয়ে  ‘এ্যাড মিডিয়া’ অপশন থেকে ছবি আপলোড করতে হবে।

এ্যাড মিডিয়াতে ক্লিক করার পর উপরের ছবির মতো পেইজ আসলে সিলেক্ট ফাইলস অপশন থেকে প্রয়োজনীয় ছবিটি হার্ডডিস্ক থেকে আপলোড করে নিতে পারবেন। তবে যদি পূর্বে ছবিটি আপলোড করা হয়ে থাকে আমাদের সাইটে, তাহলে মিডিয়া লাইব্রেরী অপশন থেকে ছবিটি সিলেক্ট করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে, নতুন করে বারবার আপলোড করার প্রয়োজন পড়বে না।

ছবির সাথে একটি ক্যাপশন দেয়ারও অপশন আছে, ছবি সংক্রান্ত ব্যাখ্যা এক লাইনে ক্যাপশন বক্সে লিখে দেয়া যেতে পারে। ছবি কোন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা হলে অবশ্যই ছবির ক্রেডিট হিসেবে ক্যাপশনে ওয়েবসাইটের নাম অথবা লিংক যুক্ত করতে হবে।

ক্যাপশনের সাথে ডেসক্রিপশন প্রয়োজন হলে ডেসক্রিপশন বক্সে লিখে দিতে পারেন। সবকিছু শেষে ‘ইনসার্ট ইন্টু পোস্ট’ বাটনে ক্লিক করলে ছবিটি লেখার সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

ছবির বদলে ভিডিও / অডিও / জিফ যুক্ত করার প্রয়োজন হলে একই প্রক্রিয়ায় এ্যাড মিডিয়া থেকে যুক্ত করা যাবে৷

রিসোর্স হাইপারলিংক করা 

তথ্যসমৃদ্ধ লেখার চাহিদা সবসময়ই বেশি, তাই আর্টিকেলে বর্ণনায় যত বেশি তথ্য পাঠককে সরবরাহ করা যাবে, পাঠক তত বেশি আর্টিকেলটি পছন্দ করতে শুরু করবে।

লেখায় ব্যবহৃত কোন তথ্যের উৎস জানানোর প্রয়োজন হলে লেখার অংশটুকু মার্ক করে উপরের ভিজ্যুয়াল পার্ট থেকে  ইনসার্ট অপশনে ক্লিক করতে হবে।

ইনসার্টে ক্লিক করার পর দেখানো লিস্ট থেকে ‘ইনসার্ট / এডিট লিংক’ এ ক্লিক করলে নীচে একটি বক্স দেখাবে, বক্সে রিসোর্স লিংকটি যুক্ত করে দিলে তথ্যের সাথে সোর্সটি হাইপারলিংকড হয়ে যাবে যা পাঠকের জন্য সুবিধাজনক হবে।

হাইপারলিংক করে দেয়ার ফলে লেখাটি পাঠকের কাছে অধিক বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। পাঠকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠা লেখকের প্রধান দায়িত্ব, তাই যেখানেই প্রয়োজন সেখানেই সোর্স উল্লেখে গুরুত্ব দেয়া উচিৎ।

হাইপারলিংক এ্যাড করতে নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটের লিংককে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। কোন ওয়েবসাইট নির্ভরযোগ্য তা জানতে ওয়েবসাইটের গ্লোবাল ও লোকাল র্যাংকিংকে ফলো করা যেতে পারে।

টেবিল / চার্ট 

লেখার মধ্যে যদি কোন চার্ট / টেবিল দেখানোর প্রয়োজন হয় তাহলে যে স্থানে টেবিল প্রয়োজন, সেখানে ক্লিক করে স্ক্রল করে উপরে গিয়ে ভিজ্যুয়াল পার্ট থেকে ‘টেবিল’ বাটন চাপতে হবে।

টেবিল বাটনে চাপার পর ছবির মতো একটি ড্রপডাউন মেন্যু চলে আসবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সেল / রো / কলাম সংখ্যা ফিক্স করে দিলেই একটি টেবিল অটোমেটিকেলি হয়ে যাবে কন্টেন্ট বডিতে।

টেবিলে এখন আপনি আপনার চাহিদা মতো ডাটা বসিয়ে নিতে পারবেন।

ফিচার ইমেজ 

কন্টেন্ট বডির ঠিক নীচেই ‘সেট ফিচার ইমেজ’ অপশনে ক্লিক করে এমন একটি ছবি যুক্ত করতে হবে যা আর্টিকেলটির সামগ্রিক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারে। ফিচার ইমেজের ক্ষেত্রে ছবি রেজ্যুলিউশন একটু ভালো হওয়া জরুরী। কম রেজ্যুলিউশনের ছবিতে আর্টিকেলের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়ার ঝুঁকি থাকে।

feature Image

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন, পাবলিশের পর ফিচার ইমেজের উপরে আর্টিকেলের টাইটেল থাকবে, তাই টাইটেলের সাথে মানানসই ছবি থাকলে পুরো কন্টেন্টটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে৷ এ ছাড়া আর্টিকেল ক্যাটাগরিও ফিচার ইমেজের উপরেই হাইলাইট করা থাকে।

অন্যদিকে আর্টিকেলটির লিংক যে কোন জায়গায় যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেও সাথে এই ছবিটি থাম্বনেইলের মতো দেখাবে, তাই ফিচার ইমেজ আকর্ষণীয় হওয়া অত্যন্ত জরুরী।

ক্যাটাগরি সিলেক্ট 

লেখা শেষ করার পর পাবলিশ করার আগে অবশ্যই লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যাটাগরি সিলেক্ট করে দিতে হবে। ওয়েবসাইটে বাই ডিফল্ট আনক্যাটাগরাইজড করা থাকে, আপনি চাইলে লেখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একাধিক ক্যাটাগরিও মার্ক করে দিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে দুটো ক্যাটাগরিই শো করবে।

পাবলিশ হওয়ার পর ফিচার ফটোর উপরে আর্টিকেল টাইটেলের সাথে আর্টিকেল ক্যাটাগরি শো করবে।

ট্যাগ ওয়ার্ড 

আপনার আর্টিকেল সম্পর্কিত লেখা কেউ যদি পড়তে চায়, তাহলে মানুষ কী লিখে সার্চ করতে পারে? এমন কয়েকটি আর্টিকেলের সাথে সম্পর্কযুক্ত শব্দ ট্যাগ ওয়ার্ড বক্সে কমা দিয়ে দিয়ে লিখতে হবে৷

সবগুলো ট্যাগ ওয়ার্ড লিখে এ্যাড বাটনে ক্লিক করলে ট্যাগ ওয়ার্ড গুলো আর্টিকেলের সাথে যুক্ত হয়ে যাবে।

এসইও করতে ট্যাগ ওয়ার্ড একটি দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রিভিউ

কন্টেন্টের সকল কাজ শেষ করার পর চেক করার জন্য চমৎকার একটি সুবিধা দিচ্ছে প্রিভিউ অপশন। আর্টিকেলটি প্রকাশের পর ওয়েবসাইটে লেখাটি কেমন দেখাবে, পাঠকের চোখ দিয়ে দেখে নিতে পারেন প্রিভিউ অপশন থেকে পাবলিকলি পাবলিশের পূর্বেই।

প্রিভিউ অপশনে ক্লিক করলেই নতুন একটি ট্যাব ওপেন হয়ে যাবে ব্রাউজারে এবং পাবলিশড ডেমোটি দেখে কোন এডিটের প্রয়োজন হলে পূর্বের ট্যাবে এসে সহজেই এডিট করে নিতে পারবেন।

পাবলিশ / ইমিডিয়েট পাবলিশ / ড্রাফট 

লেখার যাবতীয় সকল বিষয় ঠিক করে ফেলার পর আপনি যেমন ইমিডিয়েট পাবলিশ করতে পারবেন, তেমনি একটি স্কেজুয়াল ঠিক করে সেই তারিখ এবং সময়ে অটোমেটিক পাবলিশও করা যায়।

তবে আমাদের সাইটের রিকমেন্ডেশন হচ্ছে, আপনি লেখার যাবতীয় বিষয় এবং প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ড্রাফট করে রাখবেন। আমাদের অভিজ্ঞ এডিটর প্যানেল লেখা এবং বিভিন্ন ট্যাকনিক্যাল বিষয় পর্যালোচনা করে তারপর লেখাটি ওয়েবসাইটের স্কেজুয়াল অনুযায়ী পাবলিশ করবেন।

অল পোস্ট 

আপনি যে পোস্টটি ড্রাফট করেছেন, তা আবার দেখতে চাইলে কিংবা এডিট করার প্রয়োজন হলে আপনি ড্যাশবোর্ডের নীচে থাকা ‘অল পোস্ট’ বাটনে ক্লিক করুন।

এখানে আপনি ড্রাফট করা পোস্ট তো বটেই, পূর্বে পাবলিশ হওয়া পোস্ট, ড্রাফট থেকে সরিয়ে ফেলতে ট্র্যাশ করা পোস্ট সবই আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে পাবেন।

এডিট, ট্র্যাশ এবং ডিলেট 

লেখা ড্রাফট করে ফেলার পর যদি কোন কারণে ড্রাফটটি সরিয়ে ফেলতে চান অথবা এডিট করে পরিবর্তন করতে চান, তাহলে অল পোস্ট অপশনে গিয়ে নীচে স্ক্রল করে গিয়ে বাল্ক একশনে যেতে হবে। কোন লেখা ড্রাফট থেকে যদি আপনি সরিয়ে ফেলতে চান, তাহলে প্রথমে ড্রাফটটি মার্ক করে নীচে বাল্ক একশনে ‘মুভ টু ট্র্যাশ’ বাটনে চেপে দিতে হবে। এডিট করতে চাইলে একইভাবে এডিট অপশন মার্ক করে ওকে বাটন চাপলে কন্টেন্ট বডিতে চলে যাবে, ইচ্ছে মতো এডিট করতে পারবেন।

ডিলেট এবং রিস্টোর 

ট্র্যাশ করলে পোস্টটি ট্যাশ ফোল্ডারে যে থেকে যায়, তা তো দেখতেই পেলেন। ট্র্যাশ ফোল্ডারটি বিকল্প নাম হিসেবে বলা যায় রিসাইকল বিন।

কম্পিউটারের রিসাইকেল বিনে যেমন পুরনো ডিলেট করে দেয়া ফাইল রিস্টোর করা যায়, তেমনি ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে চাইলে রিস্টোর করে ড্রাফটে ফিরিয়েও আনা যাবে। তবে ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে ডিলেট করে দিলে অবশ্য চিরতরেই লেখাটা হারিয়ে যাবে।

শেষ কথা 

একটি লেখা কী করে পাঠকের সামনে সর্বোচ্চ আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা যায়, তার সম্ভাব্য সকল প্রক্রিয়া এবং পরামর্শ এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আরো প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানালে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার চেষ্টা করবো। আশা করি, লেখক হিসেবে আমাদের সাথে আপনার যাত্রা সুমসৃণ হবে।