বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় – বিএসএমএমইউ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ প্রকাশিত হবে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট bsmmu.edu.bd -এ। মোট ৩৩০টি আসনে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি নেবে। গত বছরের ভর্তি সার্কুলার অনুযায়ী চলুন জেনে নেই ভর্তি যোগ্যতা এবং আবেদন প্রক্রিয়াসহ অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য।

আরও দেখুনঃ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রাচীন এবং বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর সাধারণত ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী মাসের মধ্যে ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। কিন্তু এ বছর করোনা মহামারীর কারণে বিএসএমএমইউ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১ এখনও প্রকাশিত হয়নি, তবে শিঘ্রই প্রাকশিত হবে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য ভর্তি সার্কুলার এখনও প্রকাশিত না হলেও যেসব শিক্ষার্থীগন বিএসএমএমইউ তে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের জন্য আজ এই পোস্টের মাধ্যমে ভর্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করা হবে, যেসব তথ্য শিক্ষার্থীকে আগাম প্রস্তুতি নিতে সহায়ক হবে।

এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ
  • আবেদন শুরুঃ  জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • আবেদন শেষঃ জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • মোট আসন সংখ্যাঃ ৩৩০টি
  • ভর্তি পরীক্ষার তারিখঃ জানিয়ে দেওয়া হবে।
  • অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ www.bsmmu.edu.bd

বিএসএমএমইউ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

বিএসএমএমইউ ভর্তি সার্কুলার ২০২০-২১ প্রকাশিত হলে এখানে সার্কুলার Upload করা হবে।

আবেদন যোগ্যতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি হতে শিক্ষার্থীকে যে আবেদন যোগ্যতা থাকতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

ক) এসএসসি (SSC)/ সমমান পাশের সাল ২০১৭/২০১৮ এবং এইচএসসি (HSC)/ সমমান পাশের সাল ২০১৯/২০২০ হতে হবে।

খ) এসএসসি (SSC)/ সমমান পরীক্ষায় ন্যুনতম জিপিএ (GPA) ৪.০০ থাকতে হবে এবং এইচএসসি (HSC)/ সমমান পরীক্ষায় ন্যুনতম জিপিএ (GPA) ৪.০০ থাকতে হবে। অবশ্যই শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগের হতে হবে এবং মোট জিপিএ (GPA) ৯.০০ হতে হবে (চতুর্থ বিষয় ছাড়া)।

ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি

বিএসএমএমইউ ভর্তির জন্য আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ১৩০০ শিক্ষার্থী বাছাই করে শুধু মাত্র ১৩০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৩০০ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগন আসন সংখ্যা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবেন।

অর্থাৎ আবেদন করলেই শিক্ষার্থীগন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না। ১৩০০ শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া হবে এসএসসি (SSC) এবং এইচএসসি (HSC) পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ (GPA) এর উপর ভিত্তি করে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সার্কুলার ২০২০-২১ প্রকাশিত হলে মান বন্টনসহ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কিত আরও তথ্য এখানে যুক্ত করা হবে।

বিএসএমএমইউ ভর্তির জন্য আবেদন পদ্ধতি

আপনার যদি আবেদন যোগ্যতা থাকে তবেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। অন্যথায় আপনার আবেদন ফরমটি বাতিল বলে গণ্য হবে। আপনার আবেদন যোগ্যতা আছে কিনা জানতে উপর থেকে আবেদন যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিন। চলুন আবেদন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেই।

১) আবেদন করতে সর্ব প্রথম  admission.bsmmu.edu.bd লিঙ্কে প্রবেশ করতে হবে।

২) এডমিশন ট্যাবটি সিলেক্ট করুন।

৩) এরপর আপনার স্ক্রিনে যে আবেদন ফরমটি প্রদর্শিত হবে, ঐ আবেদন ফরমে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরন করুন।

৪) আবেদন ফরম পূরণের সময় সম্প্রতি তোলা শিক্ষার্থীর একটি  ফরমাল ছবির প্রয়োজন হবে। ছবির রেজুলেশন হতে হবে ৩০০ X ৩০০ পিক্সেল (Pixel) এবং ছবির ফাইল সাইজ সর্ব্বোচ্চ হতে পারবে ৭২ কেবি (KB) পর্যন্ত।

৫) আবেদন ফরমটি পূরন শেষে ফরমে দেওয়া বিভিন্ন তথ্য যাচাই করে নিন তারপর সাবমিট করুন।

৬) সাবমিট করা হয়ে গেলে একটা বিল নম্বর পাবেন। বিল নম্বর ব্যবহার করে আবেদন ফি পূরন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে বিএসএমএমইউ) দেশের শীর্ষ স্থানীয় স্নাতকোত্তর মেডিকেল ইনস্টিটিউট। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইনস্টিটিউট অফ স্নাতকোত্তর মেডিকেল রিসার্চ (আইপিজিএমআর) এর ঐতিহ্য বহন করে।

১৯৯৯ সালে সরকার উচ্চতর চিকিত্সা ও গবেষণার সুযোগ বাড়ানোর জন্য আইপিজিএমআরকে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে। বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যে উচ্চমানের স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রদানের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্ষণীয় খ্যাতি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী এবং অন্যান্য পেশাদার সংস্থার সাথে খুব ভাল যোগাযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পরিষেবা, শিক্ষাদান এবং গবেষণার জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত অনেক বিভাগ রয়েছে। শিক্ষার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় চিকিত্সার বিভিন্ন শাখায় গবেষণা কার্যক্রম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিশ্ববিদ্যালয়টি তৃতীয় স্তরের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র হিসাবে সাধারণ এবং বিশেষায়িত ক্লিনিকাল পরিষেবা সরবরাহ করে আসছে।