ইন্টারনেট কাজ করে কিভাবে? কে পরিচালনা করছে পুরো ইন্টারনেটকে?

ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক পরিচিত একটি নাম। যদি সারা আমরা চলতে পারে না। বর্তমানে সবকিছু ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এবং আমরা এতটাই ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে সেটা ভাবার মতো নয়। কিন্তু আমরা হয়তো জানি না এই ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করছে।

শুধু এটুকু জানি একটি ক্যাবলের মাধ্যমে আমার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ইন্টারনেটের মালিক কে? কিভাবে চলছে এই পুরো ইন্টারনেট টা? আজকে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলব আপনাদের মাঝে। আজকে পোস্টের পুরোটা জুড়ে আমি আছি রাকিবুল হাসান আপনাদের সাথে।

ইন্টারনেট কি?

পুরা পৃথিবীর অভ্যন্তরে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে তার নাম ইন্টারনেট। ইন্টারনেট বলতে বোঝানো হয়েছে একটা জালের মত নেটওয়ার্কে। যে নেটওয়ার্ক এর সাথে সংযুক্ত আছে হাজার হাজার কম্পিউটার। এবং সবগুলা কম্পিউটারে একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত।

কিভাবে কাজ করছে ইন্টারনেট?

যদি সহজ ভাষায় বলতে চাই ইন্টারনেট কাজ করছে ক্যাবল বা ওয়ারলেস সিগ্নাল এর মাধ্যমে। তারের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর প্রত্যেকটি কম্পিউটার কে যুক্ত করে তথ্য আদান-প্রদান করার বিষয়টি হচ্ছে ইন্টারনেট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় ইন্টারনেট ক্যাবল ওয়ারলেস সিগ্নাল এর মাধ্যমে কাজ করে।

এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য আদান প্রদান করানো হয়। এখন সেটা বর্তমানে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বেশি করানো হয়ে থাকে। এটা করার সময় অনেক কম লাগে। ইন্টারনেটের অধিকাংশ জায়গায় হল ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট বলতো একটি ফাইল এর মত কাজ করে। যদি আপনি পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে বসে দেখতে পারেন।

আপনাকে একটা উদাহরন মাধ্যমে বোঝানো যাক। যেমন আমাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো গুগোল। সেই গুগলের কাছে আমাদের সমস্ত তথ্য স্টোর করা আছে। এখন ধরুন গুগলের ডাটা সার্ভারের সাথে এবং আপনার কম্পিউটারের সাথে একটি তার যুক্ত করে দেওয়া হল। তাহলে আপনি খুব সহজেই তারের মাধ্যমে সেটা তথ্যগুলো গুগলের ডাটা সেন্টার থেকে আপনার কম্পিউটারে দেখতে পারবেন।

এই কাজটি আরেকটি মাধ্যমেও করা যায়। ধরুন গুগোল ওয়ারলেস সিগনাল পাঠানো। স্যাটেলাইটের ওয়ারলেস সিগন্যাল পাঠানোর পর সেই সিগন্যালটি আপনি একটি রিসিভার দিয়ে গ্রহণ করলেন। এবং সেই রিসিভারের সাথে আপনার কম্পিউটারে সংযোগ করে দিলেন। এত করেও আপনি গুগলের ডাটা সেন্টারে যে সমস্ত ডেটা পড়তে পারবেন।

এছাড়াও সাবমেরিন ক্যাবল রয়েছে। এবং আপনি শুনে অবাক হবেন বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ইন্টারনেট সেবা শুরু হয়েছিল সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে। এবং বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা অনেকভাবে পেয়ে যাচ্ছে। অনেক প্রকার নেটওয়ার্কে সূচিত হয়েছে আমাদের ইন্টারনেট। যেমন বাস নেটওয়ার্ক, ট্রি নেটওয়ার্ক, হাইব্রিড নেটওয়ার্ক, মেষ নেটওয়ার্ক, এরকম আরো অনেকে নেটওয়ার্ক রয়েছে।

এছাড়াও অন্যান্য ওয়েবসাইট আছে যা অন্যান্য দেশের সার্ভারে ধারণ করা থাকে। সেইসব ওয়েবসাইটের সার্ভার ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই বলে আমরা সেসব সার্ভার এর ওয়েবসাইটে দেখতে পাচ্ছি। এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার ঘরে আপনি নিজেই সার্ভার তৈরি করে ইন্টারনেট চালু করতে পারবেন। যেখানে আপনি এবং আপনার অন্যান্য বন্ধুবান্ধব একসাথে কাজ করতে পারবেন। এতে করে অবশ্যই আপনার কম্পিউটারে যেসব তথ্য রয়েছে সেগুলো আদান-প্রদান করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য গুলো আদান-প্রদান করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে যেটা পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত।

ওইভাবে নির্ধারিত করে বলা অনেকটা মুশকিল। মূলত ইন্টারনেটের কোন মালিকানা নেই। এখানে সবাই সংযুক্ত হয়ে কাজ করছে। অর্থাৎ যারা ইন্টারনেটের অন্তর্ভুক্ত তারা সবাই ইন্টারনেট এর ওনার। যেমন গুগল ইন্টারনেট থেকে অনেক তথ্য আমাদের দিয়ে থাকে। অবশ্যই ইন্টারনেট পরিচালনার ক্ষেত্রে গুগলের অনেক হাত রয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশের এমন দেশের বাইরে যেসব বড় বড় কোম্পানিগুলো রয়েছে তারা সবাই এইসব এর পেছনে অনেক টাকা খরচা করে। এতে করে তারা এটাকে সুবিধা নিয়ে থাকে তাদের কাছ থেকে। যেমন গুগল টুইটার ফেসবুক এটা দিয়ে আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ও রয়েছে। ধরুন আপনি ইন্টারনেট সংযোগ কিভাবে নেবেন এই জিনিসটা অনেক দেশ অনেক ভাবে গ্রহণ করে থাকে।

আপনি ইন্টারনেট সংযোগ নিতে পারেন তার দিয়ে। এতে করে অবশ্যই আপনাকে সেই সংযোগ দেওয়ার জন্য যে খরচ সেটা বহন করতে হবে।যেমনটা আমাদের বাসা বাড়িতে ওয়াইফাই লাইন নেওয়ার সময় হয়ে থাকে। আপনাকে ইন্টারনেট প্রোভাইডার তারের খরচ দিতে বলে। আর এটাই হলো তাদের এক প্রকার ব্যবসা।

এছাড়াও যেসব দেশ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। ইন্টারনেট সেবা পেতে তাদের অনেক কম খরচ হয়ে থাকে। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট ছিল না। এবং পূর্বে বাংলাদেশ অন্য দেশের স্যাটেলাইট এর উপর নির্ভরশীল ছিল। এতে করে বাংলাদেশের অনেক টাকা অন্য দেশের হাতে চলে যায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট রয়েছে। এবং এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলো চলছে।

তাই আপনি বুঝতে পারছেন ইন্টারনেট এর কোন মালিকানা নেয়। তাই বলে ইন্টারনেটের কোন নিয়ম কারণ নেই এটা একদম ভুল ধারণা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ইন্টারনেট গ্রহণকারী সবারই একটি নিয়মের মধ্যে থাকতে হয়। অবশ্যই এসব বিষয় নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে বলবো। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

 

Updated: April 17, 2022 — 5:19 pm