ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো – ফ্রিল্যান্সিং কী?

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ মানুষজন অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নেয়। এছাড়া ছোট ছোট কোম্পানি গুলো তাদের বিভিন্ন কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করে নিতেই বেশি পছন্দ করে।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর নানান ধরনের অনলাইনে কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারবেন

তবে হ্যাঁ এর জন্য অবশ্যই আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হবে এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। তো আজকে আমরা জানতে চলেছি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা যায়, ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন জানা অজানা বিষয়গুলো নিয়ে। তো দেরি না করে চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন খুঁটিনাটি তথ্যসমূহ।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে যাবেন। কিভাবে খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় সেটাও জানতে পারবেন। কেননা বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ ই খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছে।

তারা সব সময় কিভাবে খুব তাড়াতাড়ি সময় ফ্রিল্যান্সিং শেখা যায় প্রশ্নটি প্রায় ই আমাদের কে করে থাকে।তো তাদের জন্য মূলত আমাদের এই আর্টিকেলটি। আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি ভালোভাবে পড়েন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কী?

ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থই হলো মুক্ত পেশা। মানে যেই কাজ নিজের ইচ্ছা স্বাধীন অনুযায়ী করা হয়ে থাকে সেটাই মূলত মুক্ত পেশা আরে মুক্ত পেশা কি ইংরেজিতে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়ে থাকে।

কিন্তু আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মানে যা জানি তা হলো ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা কে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

আসলে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ছোট ছোট কাজগুলো বিভিন্ন সেক্টরের লোকেদের দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে করিয়ে নেয় এর বিনিময়ে তারা টাকা পে করে থাকে।

এখন যে ব্যাক্তি বিভিন্ন কোম্পানির নানান ধরনের কাজগুলো ঘরে বসে অনলাইনে মাধ্যমে করে টাকা উপার্জন করে তাকে মূলত ফ্রিল্যান্সার বলা হয়।

ফ্রিল্যান্সার মানে এই নয় যে কোন একটি প্রতিষ্ঠান স্থায়ী চাকরিজীবী বা কর্মচারী। কেননা ফ্রিল্যান্সিং মানে হল মুক্ত পেশা বা নিজের ইচ্ছাধীন অনুযায়ী কাজ করা।

নানান ধরনের কোম্পানি তাদের কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সারদের কে হায়ার করে। ফ্রিল্যান্সাররা মূলত কোম্পানির কাজগুলো নিজের ইচ্ছা স্বাধীন অনুযায়ী সময় অনুযায়ী কাজ করে দিয়ে টাকা উপার্জন করে।

 

ফ্রিল্যান্সিং কেন শিখব

আমাদের দেশে কিন্তু প্রত্যেকটা দিন বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। আর আপনি ও যদি সেই বেকারের কাতারে না পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিটাকে আগে বেছে নিতে হবে।

কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় এই সম্পর্কে আপনার যদি কোন আইডিয়া না থাকে তাহলে সমস্যা নেই। কেননা আপনি চাইলে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে এই জন্য ফ্রিল্যান্সিং করতে হবে। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে ফ্রিলান্সিং ক্যাটাগরির বিভিন্ন কাজ শিখতে হবে।

যেসব কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে টাকা আয় করতে পারবেন।
যেখানে আপনি চাকরি করে মাসে পনের বিশ হাজার টাকা কামাবেন সেখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশায় নিজের ইচ্ছে মত সময়ে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি কাজ?

এখন হয়তো আপনার মাথায় একটি জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছে যে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কি? বর্তমানে অনলাইনের যুগে যত ধরনের কাজ কম্পিউটার দিয়ে করা যায় সেগুলোই মূলত ফ্রিল্যান্সারের কাজ। এখন এই কাজের কোন শেষ বা সীমাবদ্ধতা নেই।

অনলাইনের মাধ্যমে যে কোন কাজ করা হয় হল ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ।

তারপরে চলুন জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে জেনে নেই। জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো;

১. গ্রাফিক্স ডিজাইন
২. ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট
৩. ভিডিও এডিটিং
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং

১. গ্রাফিক্স ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে সবচেয়ে যেই কাজটি বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা করে টাকা ইনকাম করে সেটা হল গ্রাফিক্স ডিজাইন। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন।

এই গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখে আপনি মাসে অনায়াসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার মত আয় করতে পারবেন। সেই সাথে যদি আপনি ভালো ডিজাইন করতে পারবেন যখন তখন চাইলে নিজে একটি এজেন্সি খুলতে পারেন।

আর একবার একটি এজেন্সি খুলতে পারলে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা আপনার পক্ষে তেমন কোন ব্যাপারই হয়ে পড়বে না।

এখন হয়তো ভাবছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এ যে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখব আসলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ কি? যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ সম্পর্কে না জানেন তাহলে চলুন জেনে নেই।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ কি?

মূলত আমাদের চারপাশে থাকা বিভিন্ন ধরনের বই বিস্কিটের প্যাকেট টি-শার্টের অ্যাড টিভিতে দেখতে পায় খাবার-দাবারের এইসব গুলোতো কিন্তু আমরা কতগুলো লেখা বা ছবিসহ অ্যাড দেখতে পাই।

যেমন আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি টি-শার্ট এ নানান ধরনের ডিজাইন থাকে আর এই ডিজাইনগুলো মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা করে থাকে।

যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাদেরকে মূলত ফ্রিল্যান্সার বলা হয়। তারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করে থাকে।

এছাড়া আমাদের আসেপাশে যেসব পোষ্টার, ফেস্টুন, ব্যানার দেখতে পাই আসলে এগুলো এক একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন। এসব ডিজাইনগুলো কে মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বা গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখতে পারেন তাহলে প্রথম মাসেই আপনি ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে পারবেন।

 

২. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট

বিশ্বের প্রতিটা দেশের প্রত্যেকটা দিন নতুন নতুন ওয়েবসাইটের সংখ্যা বাড়তেই আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট এই বিশ্বে তৈরি করা হয়ে থাকে আর এখনো পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট ওয়েবসাইটের সংখ্যা মিলিয়ন মিলিয়ন।

প্রতিদিন এই যে যেসব ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করা হচ্ছে এইসব ওয়েবসাইট গুলো কে ডিজাইন করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রয়োজন পড়ে।

বিভিন্ন ধরনের থিম এর ডিজাইন করার জন্য ওয়েব ডিজাইন এর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারেন। ওয়েব ডিজাইন শিখে আপনি বিভিন্ন ধরনের থিম বা টেমপ্লেট ডিজাইন করার মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

কেননা প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েব ডিজাইনাররা এই ওয়েবসাইট ডিজাইনের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। এছাড়াও আপনি চাইলে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। বর্তমানে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর কাছে খুবই ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।

আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজে না যেতে চান তাহলে অবশ্যই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতে পারেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ এর চাহিদা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যেখানে আপনি ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

আপনি যদি ভাল ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন তাহলে মাসে আপনার ৫ লক্ষ টাকা থেকক লক্ষ টাকা ইনকাম করা তেমন কোনো ব্যাপারই হয়ে পড়বে না। এছাড়াও আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করেও ভালো টাকা আয় করতে পারেন। আর আপনি যদি ভাল দক্ষ হতে পারেন তাহলে আপনি নিজে একটি এজেন্সি খুলে বসতে পারেন।

যেখান থেকে আপনার মাসে ২০ লক্ষ টাক থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ইনকাম করা তেমন কোনো ব্যাপারই হতে পারবে না।

তবে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্য ধরে আগে ওয়েব ডিজাইনের কাজ অথবা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ শিখতে হবে। এর পরে আপনি বিভিন্ন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করে আপনার কাজের দক্ষতা প্রমাণ করবেন। তারপর যদি পারেন একটি এজেন্সি তৈরী করবেন যেখান থেকে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন।

৩. ভিডিও এডিটিং

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এমন একটি কাজ পেতে চান যে কাজে আপনার কাজের কোনো চাহিদা থাকবে না। এই কাজে আপনি কখনোই কাজ ছাড়া থাকতে পারবেন না। কেননা সব সময় আপনি প্রচুর পরিমাণে কাজ পেয়ে থাকবেন।

এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এই কাজটি হলো ভিডিও এডিটিং এর কাজ। বর্তমানে ফেসবুক থেকে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আমরা দেখতে পাই। এই সব ভিডিও গুলো কিন্তু সম্পাদন করে থাকে ভিডিও এডিটর।

যারা ভিডিওগুলো কে এডিট করে তাদেরকে ভিডিও এডিটর বলা হয়। ভিডিও এডিটরেরা বিভিন্ন ধরনের মুভি, শর্ট ফিল্ম, নাটক মিউজিক ভিডিও এই ভিডিও গুলোর বিভিন্ন ক্লিপ গুলোকে জোড়া দিয়ে এডিট করার মাধ্যমে ভিডিও সম্পাদন করে।

এর বিনিময়ে তারা লাখ লাখ টাকা আয় করে থাকে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ ছাড়া থাকতে না চান তাহলে আপনার জন্য ভিডিও এডিটিং এর কাজ সবচেয়ে সেরা হতে পারে।

কেননা ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। যারা ভিডিও এডিটরের কাজ করে তাদেরকে কখনো কাজ ছাড়া থাকতে পারে না।

কেননা সব সময় কোন না কোন কাজ তাদের হাতে থাকে। আপনি যদি মাসে ৩০ দিনের ভিতরে মাত্র ১৫ দিন ও কাজ করেন তাহলে ও অনায়াসে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমানের এই ইন্টারনেটের যুগে যেকোনো পণ্য অথবা সার্ভিস ক্রয় করার জন্য সবাই অনলাইন এর উপর নির্ভরশীল।

যেকোনো একটি পন্য বা সার্ভিস বিক্রি করার জন্য কাস্টমারের কাছে প্রচার করার লক্ষ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে একজন ক্রেতা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারে এরপর সে উক্ত সার্ভিস বা পণ্যটি ক্রয় করে।

আর আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুবই ভালো অবস্থান করতে পারবেন।

কেননা বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি ক্যাটাগরি রয়েছে সেসব ক্যাটাগরির মধ্যে থেকে আপনি চাইলে যেকোন একটিতে কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো
ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যামাজন মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ইনস্টাগ্রম মার্কেটিং, টুইটার মার্কেটিং সহ আরও বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং রয়েছে।

যেগুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। তবে অবশ্যই আগে আপনাকে যেকোন একটি ক্যাটাগরি বেছে নিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখতে হবে।

এখন হয়তো ভাবছেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটা কি! আসলে কোন একটি কোম্পানির পণ্য অথবা সার্ভিস আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিবেন যাতে উক্ত গ্রাহক ঐ কোম্পানীর সার্ভিস বা পণ্য ক্রয় করতে বাধ্য হয়।

এভাবে আপনি কোন পন্য বিক্রয় করে দিতে পারলে কমিশন পাবেন অথবা আপনি চাইলে মাসিক বেতন ভিক্তিক চুক্তিতে কাজ করতে পারবেন।

আপনি যদি করেন তাহলে মাসে ৪০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।

 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন?

বর্তমান সময়ে আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং দুই ভাবে শিখতে পারেন।

আপনার যদি নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি বিভিন্ন ফ্রি টিউটোরিয়াল দেখে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সেক্টরে কাজ শিখতে পারবেন। তবে এতে আপনার অনেক সময়ের প্রয়োজন হবে।

আর যদি চান তাহলে আপনি বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো একটি ক্যাটাগরির কাজ টাকা দিয়ে শিখতে পারেন।

এতে করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে পারবেন ঠিকই কিন্তু এর জন্য আপনাকে টাকা ব্যয় করতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

যে কারণে আপনি যে প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখুন না কেন আপনাকে অনেকটা সময় ধরে প্র্যাকটিস করতে হবে।

আর এই জন্য আপনি চাইলে ফ্রী কোর্স গুলোই করতে পারেন। ইউটিউবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যাটাগরির বিভিন্ন ধরনের ফ্রী টিউটোরিয়াল পাবেন। কিছু এগুলো দেখে আপনি আস্তে আস্তে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলো শিখতে পারবেন এবং জানতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের কোর্স টাকা দিয়ে ক্রয় করে ও ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে পারেন। বর্তমানে অনেক ভিডিও কোর্স টাকা দিয়ে ক্রয় করে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শেখা যায় যদিও ফ্রী কোর্স আর পেইড কোর্সের মধ্যে কোনো তফাত নেই।

তবে এটা পুরোটাই আপনার উপরে নির্ভর করছে যে আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখবেন বা শিখতে চাচ্ছেন।

 

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কি কি দক্ষতা থাকা উচিত

ফ্রিল্যান্সিংয়ের আপনি যে কোন সেক্টরে কাজ করেন না কেন আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষা টাকে নিজের আয়ত্তে আনতে হবে।

ইংরেজি ভাষা একটি মোস্ট ইম্পর্টেন্ট ভাষা তার জন্য যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান।

 

ইংরেজিতে দক্ষতা

বর্তমানে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন তাহলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন দেশের মানুষের বা আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলতে হবে।

তখন কিন্তু আপনি চাইলে বাংলা ভাষায় তাদের সাথে কথা বলতে পারবেন না। আপনি শুধুমাত্র বাংলা ভাষাভাষী বাংলাদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ নিয়ে কথা বলতে পারবেন।

কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন তখন আপনাকে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে হবে। আর এই জন্য আপনাকে ইংরেজিতে একটু দক্ষতা অর্জন করা দরকার।

যদি ও আপনাকে অ্যাডভান্স লেভেলের ইংরেজি জানতে হবে না। শুধুমাত্র ইংরেজির বেসিক জানলেই হবে। ইংরেজিতে বিভিন্ন প্রশ্নের বোঝা এবং প্রশ্নের উত্তর ইংরেজি ভাষায় সুন্দর ভাবে দেওয়া এগুলো আপাতত পারলে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার টি খুবই সুন্দর হবে।

আপনি যদি কোন ভাবে একটু একটু করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সেক্টরে যেকোনো কাজ শিখতে থাকেন তাহলে অবশ্যই কাজ শেখার পাশাপাশি আপনি ইংরেজি ভাষা নিজের আয়ত্বে নিয়ে ফেলতে পারেন। কেননা ইংরেজি ভাষায় আপনাকে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের সাথে আপনার করা বিভিন্ন কাজ নিয়ে কথা বলতে হবে।

 

শেষকথ

ফ্রিল্যান্সিং হলো বর্তমান সময়ে একটি মুক্ত পেশা এই পেশাকে নিজের ইচ্ছা স্বাধীন অনুযায়ী করা যায়।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে আজ ই যে কোন একটি কোর্স করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি ক্যাটাগরি বেছে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

কারণ এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি একটি বিষয়ের উপর বেশি এক্সপার্ট হলে আপনার চাহিদা বেশি থাকবে। আর ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আপনি যত এক্সপার্ট হবেন তত বেশি টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ এই সেক্টরে এক্সপার্টদের চাহিদা এবং মূল্য খুবই বেশি।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে করবেন। অথবা ফ্রিল্যান্সিং কি এই বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের কে জানানোর চেষ্টা করেছি।

আপনার কোন বন্ধুবান্ধব যদি ফ্রিল্যান্সিং কি এই সম্পর্কে জানতে চায় তাহলে অবশ্যই তার সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

অনেক সময় দেখা যায় আমাদের বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধবেরা ফ্রিল্যান্সিং করতে আগ্রহী তারা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়।

তারা যদি কেউ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাহলে তার সাথে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করলে হয়তো আপনার বন্ধু ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা পেয়ে যাবে।

তো দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন

ধন্যবাদ।