বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় সমূহ – GSTresult

হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছে। তো আজকে আমি আপনার সামনে নিয়ে আসলাম আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে নতুন একটি আর্টিকেল। আর সেটা হল বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়। আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক পণ্য ব্যবহার করি।

সেই সাথে কিন্তু আমাদের বিভিন্ন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার ফলে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয়। আর এতে করে আকাশ চুম্বি বিদ্যুৎ বিল আসে। আর এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য আজকে আমরা কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

যেসব টিপস এবং ট্রিকস গুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার মাসের বিদ্যুৎ বিল অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। তবে এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

এই টিপস বা ট্রিকস গুলোর মাধ্যমে হয়তো আপনি আপনার বিদ্যুৎ বিলের পরিমান কিছুতে কমাতে পারবেন না। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় বা বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় গুলো কি কি।

বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়?

একটা মাস শেষ হতে না হতেই আমাদের মাথায় সবার আগে যেই চিন্তাটি আছে সেটা হল বিদ্যুৎ বিল। কেননা বিদ্যুৎ যদি ব্যবহার করেন তাহলে তো অবশ্যই বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে।

আর আপনি যদি এই সমস্যাটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে খুব সহজেই আমাদের এই আর্টিকেলের বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিকস গুলো ফলো করার মাধ্যমে, আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন।

বিদ্যুৎ বিল আমাদের বেশি আসার কারণ হলো বিভিন্ন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার করা। যেমন টিভি, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর, এসি (এয়ার কন্ডিশনার), মাইক্রোওয়েভ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার, স্মার্টফোন, লাইট ও ফ্যান ইত্যাদি।

এসব ইলেকট্রনিক্স পণ্যে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করার ফলে ই কিন্তু আমাদের বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে। কিন্তু আমরা কিছু সহজ টিপস এন্ড ট্রিকস ব্যবহার করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিলের পরিমান অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

নিচে আমরা এমন কয়েকটি সেরা টিপস এন্ড ট্রিক্স নিয়ে আলোচনা করছি। অবশ্যই আপনার কাছে একটি আশা রাখা যায় যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়বেন। তাহলে ই কিন্তু আপনি মাসের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন তো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

LED Light

আমরা কিন্তু সবাই লাইট বেশি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আপনি জানেন কি বাজারে কয়েক ধরনের লাইট রয়েছে। আর সবচেয়ে কম এবং কারেন্ট শ্রায়স্রী হলো এলইডি লাইট গুলো। এলইডি লাইট গুলো প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ সেভ করে থাকে।

সেই সাথে এই এলইডি লাইট গুলো খুবই কম পরিমাণ বিদ্যুৎ গ্রহণ করে এর কারণে এলইডি লাইট আবাল অন্যান্য লাইট এর তুলনায় অনেক পরিমাণে ইলেকট্রিসিটি ব্যবহার করে ইলেকট্রিসিটি সায়স্রী করে।

সাধারণত এলইডি লাইট গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে করে এলইডি লাইট কম তাপ উৎপন্ন করে অধিক পরিমাণে আলো দেয় আর একারণেই লাইট গুলো খুবই কম পরিমাণ বিদ্যুৎ গ্রহণ করে।

আরো মজার একটি বিষয় হলো যে, আপনার এলইডি বাল্ব যত কম ওয়ার্ড হবে ততই আপনার বেশি বিদ্যুৎ বাঁচাবে। বাজারে কিন্তু অনেক ধরনের এলইডি বাল্ব পাওয়া যায়। সবসময় চেষ্টা করবেন ৫ ওয়াট থেকে ২) ওয়াটের মধ্যে কোন এলইডি বাল্ব নেওয়ার জন্য।

কেননা এসব বাল্ব গুলো খুবই কম পরিমাণে ইলেকট্রিসিটি গ্রহণ করে সেই সাথে সিএফএল (CFL) বাল্ব এর তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নেশি ইলেকট্রিসিটি বাঁচানো যায়। ইলেকট্রিসিটি বাঁচানো মানে হল আপনার বিদ্যুৎ বিল খুবই কম পরিমাণে আসবে।

আপনি যত বেশি ওয়ার্ডের ইলেকট্রিসিটি বাল্ব ব্যবহার করবেন ততই আপনার বিদুৎ বিল বেশি আসবে। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু কিছু বাল্ব আছে এগুলো ব্যবহার করার ফলে অধিক পরিমাণে ইলেকট্রিসিটি হ্রাস হয় আর সেই তুলনায় অনেক কম বিদ্যুৎ বিল আসে।

কিন্তু এক্ষেত্রে এলইডি লাইট অনেকটাই এগিয়ে থাকবে। যেমন বেশি তাপ উৎপন্ন করে ঠিক তেমনি সব সময়ে কম বিদ্যুৎ গ্রহণ করার চেষ্টা করবে। একমাত্র এলইডি বাল্ব ব্যবহার করার জন্য ই আপনার অনেক ইলেকট্রিসিটি বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব হয়ে পড়বে।

Plug Unplug

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা মোবাইল, ল্যাপটপ চার্জ অথবা টিভির প্লাগ গুলো ব্যবহার করার শেষে আনপ্লাগ করেন না। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে এইসব আনপ্লাগ না করার কারণে আপনার অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হয়। সেই সাথে আপনার বিদ্যুৎ বিল ও প্রচুর পরিমাণে আসে।

অনেকেই এখন বলতে পারেন যে এসবে তো এত স্বল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ অপচয় হয়। কিন্তু আপনি যখন একটি হিসাব করে দেখবেন। মাসে তখন কিন্তু আপনার এই বিদ্যুতের অপচয় এর পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। আপনি যদি এভাবেই আপনার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ব্যবহার করার পর প্লাগ গুলো ইউজ করার পর আনপ্লাগ না করেন।

তাহলে আপনার দিনকে দিন দিন বাড়তেই থাকবে। আর এজন্য সব সময় চেষ্টা করবেন যে কোন একটি জিনিস ব্যবহার করার পর সেগুলো আনপ্লাগ করে রাখবেন। এতে করে দেখুন মাসের আপনার অনেক টাকা বিদ্যুৎ বিল সেভ হয়েছে।

Digital Electronic Devices

আপনার যদি মাসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে। আর আপনার বিভিন্য ইলেকট্রিসিটি পণ্যগুলো যদি হয় অনেক আগেকার দিনের, তাহলে কিন্তু এটাই স্বাভাবিক বেশি বিদ্যুৎ বিল আসার। কেননা আগেকার দিনে যে সব ইলেকট্রিসিটি পণ্য গুলো তৈরি করা হতো সেগুলো প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় করতো।

তাই আপনার যদি মাসে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আসে। তাহলে আগে চেক করে দেখবেন যে, আপনার ঘরে আগেকার দিনের কোন ইলেকট্রিক সরঞ্জাম রয়েছে কি না। যদি থাকে তাহলে আজই চেঞ্জ করে নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রিক সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার করবেন।

কেননা উন্নত প্রযুক্তির সাথে সাথে আমাদের এই ইলেকট্রিক পণ্য গুলো অনেক উন্নত হয়েছে। এইসব ইলেকট্রনিক পণ্য গুলোতে আগের তুলনায় অনেক নগণ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। সেই সাথে আগের তুলনায় অধিক সার্ভিস দিয়ে থাকে।

কেননা আগেকার দিনে যে সব ইলেকট্রিক পণ্য গুলো তৈরি করা হতো সেগুলো সাধারণত ব্যবহার করার জন্য তৈরি করা হতো অথবা বিক্রি করার জন্য তৈরি হতো। তখন বিদ্যুৎ অপচয়ের কথা মাথায় রাখা হতো না। কিন্তু বর্তমানে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ইলেকট্রিক পণ্য গুলো অনেক উন্নত হয়েছে।

এখন এগুলো আগে কতটা পরিমাণ বিদ্যুৎ সংরক্ষণ বা সাশ্রয় করতে পারে সেটাই মূল বিষয় হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন পণ্য নির্মাতা কোম্পানি কম বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন করে থাকে। এজন্য আপনি যদি পারেন তাহলে পুরোনো সব ইলেকট্রিক পণ্য বদলে নতুন প্রজন্মের ইলেকট্রনিক্স পন্য ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার বিদ্যুৎ বিল মাসে খুব বেশি পরিমাণে কমে আসবে

Water Hitter

শীতের দিনে আমাদের মধ্যে অনেককে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের কমদামি ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে পানি গরম করে থাকেন। কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন যে আপনি যে ওয়াটার হিটার গুলো কম দামে কিনে পানি গরম করছেন। এতে আপনার অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হচ্ছে।

আর বেশি বিদ্যুৎ অপচয় মানে হল আপনার বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার কারন। কেননা ইলেকট্রিক বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার হিটার গুলো প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় করে। অল্প কয়েক মিনিটের ভিতরে পানি গরম করে ফেলে, এতে করে অনেক অনেক পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় হয়।

মাঝে মাঝে এমন হয় যে একটি ওয়াটার হিটার দিয়ে আপনি একঘন্টা যতটুকু বিদ্যুৎ অপচয় করবেন। আর ঘরে থাকা সমস্ত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রে ও সারা মাসে আপনার ততটা বিদ্যুৎ অপচয় করার প্রয়োজন পড়বে না। যদি আপনি ওয়াটার হিটার ব্যবহার করে পানি গরম করার কাজটি করে থাকেন। তাহলে আজ থেকে ই তাহা পরিহার করুন। এতে করে দেখবেন আপনার অনেকটাই বিদ্যুৎ বিল কমানো সম্ভব হয়েছে

Night lamp/Light

আমাদের মধ্যে অনেকেরই ঘুমানোর সময় লাইট জ্বালিয়ে ঘুমিয়ে থাকার সভাব রয়েছে। তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের নাইট ল্যাম্প বা ডিম লাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি, যেগুলো অল্প আলো দেয়। আর এভাবে সারারাত আমাদের অল্প আলোতে সার্ভিস দিয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি যদি রাত্রে ডিম লাইট অথবা নাইট ল্যাম্প ব্যবহার করতে চান তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু সবসময় খেয়াল রাখবেন এগুলো কিন্তু সারারাত জালানো থাকে। তাই তারা কিন্তু সারারাত এই কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যয় করে। আর ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যয় করার ফলে আপনার কিন্তু অনেক পরিমান বিদ্যুৎ অপচয় হয়।

আর আপনি যদি তখন একটি এলইডি ডিম লাইট বা এলইডি নাইট ল্যাম্প ব্যবহার করেন। তাহলে দেখবেন আপনার অনেকটাই পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী হয়েছে। যেহেতু আপনি রাতে নাইট ল্যাম্প বা ডিম লাইট ব্যবহার করতে চাচ্ছেন তাই সবসময় এলইডি ডিমলাইট গুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।

কেননা এগুলো অনেক পরিমাণের বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দিতে সক্ষম। কিছু কিছু এলইডি লাইট ল্যাম্প রয়েছে যেগুলো সারা মাসে মাত্র ৫ থেকে ১০ ওয়াট বিদ্যুৎ অপচয় করে। এই লাইট গুলো অনেক কম বিদ্যুৎ অপচয় করে থাকে।

তাই আপনি যদি চান ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ বিল কমাতে তাহলে আজ থেকে আজে বাজে ডিমলাইট অথবা নাইট লাইট গুলো বাদ দিয়ে দিন। বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্যে এলইডি ডিম লাইট অথবা নাইট লাইট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে দেখবেন আপনার অনেকটা পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পেয়েছেন।

AC (Air Condition)

আপনার ঘরে যদি এসি থাকে তাহলে কিন্তু এই গরমে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসার কারণ হতে পারে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি এই বিদ্যুৎ বিলের পরিমান কমিয়ে আনতে সক্ষম হবেন। এজন্য প্রথমে আপনার যা করতে হবে তা হল ফাইভ স্টার রেটিং এসি ব্যবহার করা৷ বাজারে 5 Star রেটিং এর কিছু এসি পাওয়া যায়।

বাজারে যেগুলো 5 Star রেটিং এর এসি গুলো যেমনি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেই সাথে ভালো সার্ভিস দিয়ে থাকে। তো আপনি যদি এসি ব্যবহার করেন তাহলে ফাইভ স্টার রেটিং এর যে সব এসি গুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করবেন। এতে করে দেখবেন আপনার অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী হয়েছে।

আর একটি বিষয় সবসময় খেয়াল রাখবেন সেটা হলো আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা বেশিরভাগ সময়ে ভুলটা করে থাকি। আর এই ভুলটা হলো আপনার ঘর যদি ছোট হয় তাহলে ছোট্ট একটি এসি ই আপনার জন্য যথেষ্ট। আপনি যদি বড় একটি এসি কম দামে পেয়ে আপনার ঘরে নিয়ে আসেন। তাহলে ছোট্ট ঘরেট জন্য এতো বড় এসির প্রয়োজন নেই।

কিন্তু বড় এসিতে আপনার বিদ্যুৎ অপচয় বেশি হচ্ছে। বড় এসিতে অবশ্যই আপনি বেশি সুবিধা ভোগ করতে পারলেও আপনার ছোট্ট ঘরের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করা উচিত। এতে করে দেখবেন আপনি অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল কমাতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া মাঝে মাঝে এসির এয়ার ফিল্টার (Air Filter) গুলো সাফ (Clear) করবেন।

এসব করার কারণে আপনার এসি তাড়া তাড়ি কুলিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেই সাথে যে ঘরে এসি আছে সেই ঘর থেকে এসির ঠাণ্ডা বাতাস বাইরে যেতে না পারে এজন্য ভালো ভাবে ঘরটি ইনসুলেটেড করে রাখতে হবে।

এছাড়াও এটি ব্যবহার করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। এই ফ্যান গুলো ব্যবহার করার পরে দেখবেন এসির যে ঠান্ডা বাতাস রয়েছে এটা এক জায়গায় না থেকে সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। আর আপনার ঠান্ডা রাখতে সক্ষম হবে এভাবে কিন্তু আপনি আপনার বিদ্যুৎ পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারবেন।

 

Washing Machine

মাস শেষে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসলে, আর আপনি যদি ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে। ওয়াশিং মেশিন এর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসলে, আপনি কিন্তু কিছু টিপস ফলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই এই বিপদ থেকে বাঁচতে পারবেন।

আপনি যদি আমাদের কিছু টিপস ও ট্রিকস অনুসরণ করেন তাহলে দেখবেন আপনার ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্যে প্রথমে যে কাজটি করতে পারেন, সেটা হল ওয়াশিং মেশিনে কাপড় বারে বারে ওয়াশ না করে, একসাথে অনেক গুলো জমিয়ে ওয়াশ করতে পারেন।

এতে করে দেখা যাবে যে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ছোট্ট একটা কাপড় নষ্ট হয়ে গেলে সেটা সাথে সাথে ই ওয়াশিংমেশিনে দিয়ে ওয়াস করেন। কিন্তু এই কাজটি কখনো করবেন না। যদি পারা যায় একসাথে অনেকগুলো কাপড় জমিয়ে রাখবেন।

তারপর ওয়াশিং মেশিনের মাধ্যমে একদিনে সবগুলো ওয়াস করবেন। এভাবে ওয়াস করলে দেখবেন আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে আগের তুলনায়। এছাড়াও চাইলে ওয়াশিং মেশিন জামা কাপড় পরিষ্কার করার সময় যদি পারা যায়, তাহলে ওয়াশিং মেশিনের সাহায্যে কাপড় শুকানোর চেষ্টা না করাটাই ভালো।

কেননা এতে করে অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ অপচয় হয়। আর যখন দেখবেন আপনার ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে, তখন ওয়াশিং মেশিন বন্ধ করে দিবেন। আর যদি ব্যবহার করার পরও চালিয়ে রাখেন তাহলে অনেক পরিমাণে বিদ্যুতের অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এছাড়াও যদি স্ট্যান্ডবাই মোডে আপনার ওয়াশিং মেশিন চালু থাকে তাহলে কিন্তু বন্ধ করে দিবেন। স্ট্যান্ডবাই মোডে থাকাকালীন সময়ে ওয়াসিং মেশিন অনেক পরিমাণে বিদ্যুৎ মেশিন নিজে নিজেই ব্যয় করতে থাকে। তাই কখনো স্ট্যান্ডবাই মোড চালু করা যাবে। এই সব গুলো রুলস গুলো ফলো করে খুব সহজেই আপনার বিদ্যুৎ বিল মাসের কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। যদি আপনি যথাযথভাবে সবগুলো টিপস ফলো করতে পারেন।

শেষ কথা

কিভাবে বিদ্যুৎ বিল কমানো যায় অথবা বিদুৎ বিনো কমানোর উপায় গুলো নিয়ে উপরে আমরা তার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি খুব সহজে উপড়ে টিপস এবং ট্রিকস গুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হতে পারবেন।

কেননা বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল টাকার পরিমাণটা দেখে আমাদের সবারই কম বেশি মাথা ঘুরে যায়। আর আপনি যদি এই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে চান তাহলে আপনার জন্য আমরা উপরে সব ধরনের টিপস শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।

যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার বিদ্যুৎ বিলের পরিমান অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। আপনি কোন আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু যদি বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চিন্তায় থাকে, তাহলে তার সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

এতে করে দেখা যাবে আপনার আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু বান্ধব ও তাদের বিদ্যুৎ বিল অনেকটা পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। আর হ্যাঁ নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে বিষয়টি জানাতে পারেন।

খুব শিগগিরই আমরা যথা সাধ্য চেষ্টা করে আপনার বিষয়টি নিয়ে নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। তো আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল, দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।

Updated: April 8, 2022 — 4:18 pm