বর্তমান সময়ের মধ্যে আমরা বসবাস করছি সবচেয়ে উন্নত প্রজন্ম হিসেবে। হয়তো আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আরো উন্নত হতে পারে। সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত জাতি হলাম মূলত আমরাই।
বর্তমানে আমরা সবাই কম বেশি স্মার্ট ফোন বাটন ফোন সহ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ফোন ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল ফোন কত ছোট্ট একটা যন্ত্র তাই না। আমরা এই ফোনটি দিয়ে আমাদের প্রিয় জন বা পরিচিত যে কাউকে একটি কল দিলে তার সাথে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কথা বলতে পারি।
সে অপর প্রান্তে বসে কি বলছেন না বলছে সেটা এই প্রান্তে বসে আমি খুব সহজেই জানতে পারি ও বুঝতে পারি। আবার আমি কি বলছি না বলছি সেইটা আবার ওই প্রান্ত থেকে আমার পরিবার আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু বান্ধবেরা খুব সহজেই বুঝতে পারে।
কখনও কি ভেবেছেন যে কিভাবে আমরা ছোট্ট একটি যন্ত্রের সাহায্যে এভাবে কথা বলতে পারি। অথবা কখনো কি ভাবছেন যে কিভাবে মোবাইল ফোন কাজ করে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য ই সাজানো হয়েছে।
কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনার সাথে শেয়ার করতে চলেছি কিভাবে মোবাইল ফোন কাজ করে এই বিষয়টি নিয়ে। তো শুরুতে যে কথাটি বলতে চাই সেটা হলো আপনি যদি জানতে চান, মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে তাহলে অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি ভালো ভাবে পড়তে হবে।
এতে করে আপনি খুব সহজে জানতে এবং বুঝতে পারবেন যে কিভাবে স্মার্ট ফোন কাজ করে বা কিভাবে মোবাইল ফোন কাজ করে। তো চলুন জেনে নেই মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে।
মোবাইল ফোন যেভাবে আবিষ্কার হয়েছে
এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দুই প্রান্তের ব্যবহারকারীর মধ্যে যতটা দূরত্ব থাকুক না কেন, অল্প কিছু সময়ের মধ্যে আমরা বিভিন্ন কথা বা বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করতে পারি এই ছোট্ট একটি ফোনের সাহায্যে।মোবাইল ফোন আসার আগে কিন্তু আমাদের সামনে এসেছিল টেলিফোন।
যে টেলিফোন কে উন্নত করার মাধ্যমে বর্তমানে এই স্মার্টফোন বের হয়েছে। মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে এটা জানার জন্য আগে আমাদের জানতে হবে যে কিভাবে টেলিফোন কাজ করে বা ল্যান্ডফোন কিভাবে কাজ করে এই বিষয়টির উপর।
১৮৮৫ সালের কোন একটি সময়ে আবিষ্কৃত হয় এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কথা বা তথ্য লেনদেন করা একটি যন্ত্র। সেই যন্ত্রটির নাম দেওয়া হয় টেলিফোন। আর টেলিফোন টি আবিষ্কার করেছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল। তিনি যখন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিল সেটা ছিল খুবই বড় একটি প্রক্রিয়া।
যে প্রক্রিয়ার সাহায্যে এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিভিন্ন কথা লেনদেন করা হতো। বর্তমানে আমরা যেমন হাতে থাকা ছোট্ট একটি স্মার্ট ফোন দিয়ে কথা এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কথা বা তথ্য আদান প্রদান করতে পারি। কিন্তু তৎকালীন সময়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল খুবই বড় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেলিফোন আবিষ্কার করে।
তিনি যখন তৈরি টেলিফোন আবিষ্কার করে তখন সেই টেলিফোন শুধু মাত্র তারের সাহায্যে কাজ করতো। মানে আপনি যদি কথা কারো সাথে বলতে চান, তাহলে আপনাকে তারের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির টেলিফোন এর সাথে আপনার টেলিফোনের যোগাযোগ থাকতে হবে।
আপনার টেলিফোনের সাথে যদি অন্য ব্যক্তি টেলিফোনের যোগাযোগ না থাকে তাহলে কি আপনি কথা বলতে পারবেন না এবং সে কথা শুনতেও পারবে না। সেইসাথে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল একটি নম্বর আবিষ্কার করে। যেটার মাধ্যমে খুব সহজেই বোঝা যায় যে কখন কোন নাম্বারে ফোন দিলে কার কাছে ফোন যাবে।
আর নাম্বার ডায়াল করার জন্য ছিল আলাদা একটি ডায়াল প্যাড। যেটার মাধ্যমে ডায়াল করে বিভিন্ন মানুষের কাছে ফোন দেওয়া যায়। ঠিক এভাবে ই শুরু হয়েছিল টেলিফোনের যাত্রা বা বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোনের ইতিহাস।
টেলিফোনের যাত্রা আস্তে আস্তে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে আবিষ্কৃত হয় বিভিন্ন ধরনের ল্যান্ড ফোন। ল্যান্ড ফোন টাকে আরো উন্নত করার ফলে বাটন ফোন থেকে আবিষ্কৃত হয়। সেই বাটন ফোন কে আরো অনেক উচ্চতায় নিয়ে যায় মোবাইল ফোন তথা বর্তমান প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন।
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন টি তারবিহীন আর এই সিস্টেম কে সেলুলার নেটওয়ার্ক বলা হত। এখন চলুন জেনে নেয়া যাক স্মার্টফোন নেটওয়ার্ক কিভাবে কাজ করে।
মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে?
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক এর জন্য হোক প্রত্যেকটা দেশের প্রত্যেকটা এলাকা আলাদা আলাদা বিভিন্ন সেলে বিভক্ত থাকে। আর এই সেল থাকার কারণে বিভিন্ন কারনে মোবাইল ফোন কে সেল ফোন বলা হয়ে থাকে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পৌঁছানোর জন্য প্রত্যেকটা এলাকায় একটি করে বেস স্টেশন থাকে।
এই সব বেস গুলো অন্য বেস স্টেশন কন্ট্রোলার সাথে যুক্ত থাকে। আবার প্রতিটি বেস্ট স্টেশন কন্ট্রোলার এর সঙ্গে মোবাইল সুইচিং কেন্দ্রের সাথে যুক্ত করা হয়ে থাকে। আর এই মোবাইল সুইচিং কেন্দ্রই মোবাইল নেটওয়ার্ক এর কাজ করে থাকে।
যখন একটি ফোনে কথা বলা হয় তখন উক্ত ফোনের ভিতরে থাকা ইন্টার্নাল মাইক্রোফোন কথাগুলোকে ডিজিটাল ওয়েবে রূপান্তর করে। আর ডিজিটাল ওয়েব বলতে তো আপনারা জানেন ই যে ডিজিটাল ওয়েব মূলত বাইনারি সংখ্যাকে বলা হয়ে থাকে।
আর আমাদের প্রত্যেকটা ফোনে একটি করে এন্টেনা থাকে যেটা ডিজিটাল ওয়েভ কে রেডিও ওয়েভে পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। এরপরে রেডিও ওয়েভ গুলো আমাদের আশেপাশে থাকা বিভিন্ন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ কে গ্রহণ করে সেটা বেশি স্টেশন কন্ট্রোলার কাছে পাঠায়।
আবার বেশি স্টেশন কন্ট্রোলার রেডিও এগুলো মোবাইল সেটিং কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেয়। মূলত মোবাইল ফোনের নেটিয়ার্কের কাজটি সম্পাদন করা। মোবাইল সুইচিং কেন্দ্র হল এমন একটি জায়গা যেখানে বিভিন্ন সিমের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হয়।
এর মানে হলো আপনি যেই নম্বরটি ব্যবহার করছেন অথবা আপনি যে সিমের মালিক এর নাম ও সিম টি যে ডিভাইসে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই ডিভাইসের ইএমআই নম্বর এবং সেটি কোন ঠিকানা ইত্যাদি সকল তথ্য সংরক্ষন করা হয়।
মোবাইল সেটিং কেন্দ্র এই সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে খুঁজে বের করে কোথায় উক্ত ফোন নম্বরটি রয়েছে যেখানে কলার ফোন করেছে। এরপরে উক্ত ব্যক্তি ফোন রিসিভ করলে মোবাইল সেটিং কেন্দ্র আবার আগের একই নিয়মে সেটা গ্রহন করে পাঠিয়ে দেয়।
এভাবেই প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক ও মোবাইল ফোন কাজ করে থাকে।
তো আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় বা তথ্য গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি।
আপনি হয়ত মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে বা মোবাইল কাজ করে কিভাবে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আগে জানতেন না। আর আশা করি যে আজকের এই আর্টিকেল থেকে মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে এটা জেনে নিতে পারলেন।
এরপরে ও মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ এই সম্পর্কে যদি কিছু বুঝতে অসুবিধা বা সমস্যা হয় তাহলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার কমেন্টের সমস্যাটির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
এছাড়া আপনার কোন বন্ধু বান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজন যদি মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে এই বিষয় সম্পর্কে না জানে, তাহলে তাদের সাথে আমাদের এই আর্টিকেল টি শেয়ার করতে পারেন। এতে করে আপনার বন্ধু বান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজন ” মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে “এসব বিষয় গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে বা অবগত থাকবে।
শেষ কথা
মোবাইল ফোন কিভাবে কাজ করে এই বিষয় টি নিয়ে আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল আমাদের আর্টিকেল। দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। আর আপনি যদি নতুন কোন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন, তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের কে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে পারেন।
আমরা খুব শীঘ্রই আপনার বিষয়টি নিয়ে নতুন আর্টিকেল লেখার করার চেষ্টা করব। ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।