মার্কেটিং পড়ে ক্যারিয়ার কি কি করা যাবে? – GstResult

আপনি কি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতেছেন, মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে বসে আছেন। অথবা আপনি কি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন মার্কেটিং পড়ে ক্যারিয়ার কি কি হওয়া যায়। হয় তো জানেন কিছু টা আবার হয়তো একে বারে ই কিছু জানেন না।

এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে মার্কেটিং নিয়ে পড়ালেখা করলে ভবিষ্যতে আমার ক্যারিয়ারে কি কি করা যেতে পারে। চিন্তার কোন কারণ নেই! মার্কেটিং নিয়ে আপনার যত প্রশ্ন আছে সব গুলো প্রশ্নের উত্তর আজকেরে আর্টিকেল এর মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন মার্কেটিং পড়ে ক্যারিয়ারে কি কি করা যায়। এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন মার্কেটিং নিয়ে পড়ার পর কোন কোন সেক্টরে আপনি কাজ করতে বা চাকরি করতে পারবেন।

এরকম আপনার নানান ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। শুরুতে একটা কথা বলব সেটা হলো আপনি যদি মার্কেটিং নিয়ে পড়তেছেন অথবা পড়া শেষ করেছেন অথবা আপনি মার্কেটিং পড়াশোনা শুরু করতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনি জানেন না যে, মার্কেটিং করে কি কি সেক্টরে কাজ করা সম্ভব।

আর আপনি যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা পড়তে হবে। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি পুরোটা না পড়েন। তাহলে কিন্তু আপনি কিছুতেই জানতে পারবেন না মার্কেটিং করে আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার কি কি করা যাবে।

এছাড়াও আপনি কনফিউশনে থাকবেন যে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে আপনার লাভ হবে না কি লস হবে। আপনার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলে মাধ্যমে জানতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক মার্কেটিং কি কি সেক্টরে চাকরি করে ক্যারিয়ার গড়া যাবে।

 

মার্কেটিং 

বর্তমানে আপনি যদি বাজারে যান তাহলে কিন্তু আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য দেখতে পারবেন। কোনো পণ্যের দাম কম কোন পণ্যের দাম বেশি। আবার কোন পণ্যের কোয়ালিটি হাই বা ভালো কোন পণ্যের কোয়ালিটি লো বা বাজে। আবার আপনার একটা বিষয় দেখে থাকবেন যে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকে, যেটা আপনি এক জায়গা পাবেন কিন্তু অন্য জায়গায় সেটা পাবেন না।

একটা পণ্য সম্পর্কে মানুষ অনেক কিছু জানতে পারে। আবার অন্য একটা পণ্য সম্পর্কে মানুষ কিছুই জানতে পারে না। আর এই জানা-নাজানা, বেচা-কেনা প্রচার বা প্রসার সবকিছুই নির্ভর করে একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ এর উপর। যিনি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এসব কাজগুলো পরিচালনা করে থাকে। যাকে বলা হয় একটি ক্রেতা গোষ্ঠীর মনস্তত্ত্ব বিভাগের প্রধান।

কেননা তিনি তার মাইন্ড এর মাধ্যমে মানুষের বা ক্রেতাদের বিভিন্ন চাহিদা গুলো বুঝতে পারে। ক্রেতাদের কাছে তার কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য প্রচার ও প্রসার করতে পারে। সেই একমাত্র তিনি ই জানতে পারে যে, একটি কাস্টমার একটি পণ্যের উপর কী চায়? কীভাবে কাস্টমার একটি কোম্পানির প্রতি ভালো চিন্তা ভাবনা বাড়ানো যায়?

যাতে করে পরবর্তী সময়ে ওই কাস্টমার আবারো তাদের কোম্পানির বিভিন্ন পন্য ক্রয় করতে নিজের ইচ্ছায় বাধ্য হয়। আর এই কাজটি মূলত করে থাকে যারা মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ বা যারা মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করে। এই মার্কেটিং এর বিষয়টি বা মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ হলো তারাই যারা মার্কেটিং বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে।

কেননা বর্তমান সময়ে প্রতিটা কোম্পানির তাদের পন্যের মার্কেটিংয়ের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর বর্তমান সময় কে বলা যায় এক প্রকারের মার্কেটিং এর যুগ। যে বেশি একটা পন্যের মার্কেটিং করতে পারবে সে তত বেশি প্রফিট অর্জন করতে পারবে।

কেননা যত বেশি বিক্রি করতে পারবে আর বেশি লাভ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। আর এজন্য ই বর্তমানে মার্কেটিং হলো একটি পণ্যের কিং। মার্কেটিং ছাড়া কোন কোম্পানি ই তাদের প্রচার বা প্রসার করতে পারে না। আর কোন কোম্পানির পন্যের প্রচার বা প্রসার না ঘটলে উক্ত কোম্পানির কোন পন্য বিক্রি হবে না। আর বিক্রি না হওয়া মানে ই হলো লাভ হওয়ার সম্ভবনা।

এর এই যে বিভিন্ন কোম্পানির ও তাদের পন্য এগুলো কিভাবে প্রচার করলে বেশির ভাগ ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যাবে, কিভাবে প্রচার করলে বেশিরভাগ ক্রেতা উক্ত পন্য ক্রয় করতে আগ্রহী হবে এগুলা সবই সবই করে থাকে একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ আর যিনি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেই মার্কেটিং সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ হয়।

 

মার্কেটিং কি?

মার্কেটিং হল ব্যবসায়ী বা ই-কমার্স একটি বিষয়। এই বিষয়টি তে মূলত বাজারের ব্যবস্থাপনা এবং বিপণন সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানানো হয়। যাতে করে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে বিপণন করা যেতে পারে। সেই সাথে বাজারের ব্যবস্থা রয়েছে বাজারব্যবস্থা সেটা পরিচালনা করা যায়।

বাজারে কোন পণ্যের প্রচার বা প্রসার করার লক্ষ্যে মূলত মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করলে ক্যারিয়ার গড়া যায়। মার্কেটিংয়ের এই সেক্টরের জানানো হয় এবং শেখানো হয় যে, কিভাবে বিভিন্ন পণ্যের বিক্রি বাড়ানো যায়? কিভাবে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচার বা প্রসার করে ক্রেতাদের কাছে ক্রেতাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়?

কিভাবে বিভিন্ন ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ও তাদের চাহিদা মাথায় রেখে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করতে হয়। যাতে করে মার্কেটিং করলে ক্রেতারা বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রতি আকর্ষিত হয়ে পণ্য কিনতে আগ্রহী হয়। আপনি যদি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনাকে এসব বিষয় সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে। কেননা এসব বিষয় গুলো মূলত মার্কেটিং বিভাগের মধ্যে পড়ে।

আপনি যদি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে আপনাকে এইসব বিষয় গুলো সম্পর্কে জানানো হবে। যাতে করে আপনি ভবিষ্যতে কোন একটা কোম্পানির লীড দিতে পারেন অথবা কোন একটা কোম্পানি পরিচালনা করতে পারেন। সেই কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করতে পারেন। কিভাবে বিভিন্ন ক্রেতাদের আকর্ষিত করা যায় আপনার কোম্পানির পণ্যের প্রতি সেটা জানাতে হবে।

মার্কেটিংয়ের এই বিভাগ কে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাণিজ্যিক সেক্টরকে মনস্তত্ত্ব সেক্টর বলা হয়। একবার ভাবুন তো কতটা গভীরে গিয়ে কিভাবে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কিভাবে ক্রেতাদের ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য প্রচার বা প্রসার করতে হয়। এটা কিন্তু পুরোটাই নির্ভর করে একজন মার্কেটিংয়ের মনস্তত্ত্বের উপর।

এখন ভাবুন তো মার্কেটিং বিষয়টি কতটা ডার্ক একটি সেক্টর। আর এই সেক্টরে কাজ করে আপনার জীবনে আমূল পরিবর্তন আনতে পারবেন। যদি আপনি ডিসিশন বা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি অবশ্যই মার্কেটিং সেক্টর টা বেছে নিতে পারেন। যদি আপনার কোন সমস্যা না হয়।

কেননা এই সেক্টরের বিভিন্ন কাজের চাহিদা যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক তেমনি এই সেক্টরের কাজের লোকের প্রচুর অভাব রয়েছে। যে কারণে যদি কেউ মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে বা মার্কেটিং সেক্টরে আসে তাহলে সে খুব সহজেই বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সহ নানান বিষয় উপভোগ করতে পারবে।

 

মার্কেটিং এর কাজ কি কি?

একবার যদি আপনি মার্কেটিং শিখতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব সহজে কাজ পেয়ে যাবেন। এছাড়া চলুন জেনে নেয়া যাক কোথায় কোথায় কাজ পাওয়া যাবে বা কি কি সেক্টরে কাজ পাবেন সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করি।

যদিও এটা নির্ভর করবে আপনার কাজের দক্ষতার উপর দক্ষতা অনুযায়ী আপনি একটা লেভেল বা পজিশন পাবেন। যখন আপনি মার্কেটিং নিয়ে লেখাপড়া শেষ করে কোন কোম্পানি তে জয়েন করবেন শুরুর দিকে। তখন কিন্তু আপনার কাজ করার টেকনিক্যালি যে বিষয়টা রয়েছে সেটা একটু জ্ঞান কম থাকবে।

আর যখন আপনার কাজ করতে করতে অনেক দিন যাবত হয়ে যাবে। তখন কিন্তু আপনি মার্কেটিং এর কাজে খুবই দক্ষ হয়ে উঠবেন আর তখন আপনার পজিশন টা ও একটু উপরের লেভেলের হবে। দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার পজিশন নির্ভর করবে।

এখন মার্কেটিংয়ের কাজ কিন্তু কয়েক ধরনের হতে পারে। মানে ধরুন একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ শুধুমাত্র পণ্যের কিভাবে প্রচার করা যায় সেই লক্ষ্যে মার্কেটিং করে। আরেকজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ দেখা যায় পণ্যের কিভাবে বিক্রি বাড়ানো যাবে বা সেল বাড়ানো যায় এই ভিত্তিতে কাজ করে।

এখন মার্কেটিং বিভাগে বিভিন্ন সেক্টর হতে পারে। নিচে কয়েকটি সেক্টরের কথা বলা হলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো;

১. বাজার গবেষণা বিশ্লেষণ সেক্টর, 

২. প্রতিযোগী বিশ্লেষণ সেক্টর, 

৩. ক্রয় বিক্রয় সেক্টর, 

৪. ভোক্তা আচরণ সেক্টর।

 

১. বাজার গবেষণা সেক্টর: বাজার গবেষণা সেক্টর হল একটি পণ্য বাজারে কতটা পরিমাণ ছারলে বেশ ভালো হবে। কতটা পরিমাণ পণ্য বাজারে ছাড়লে ও নিরাপদ বলা যায়।

একই পণ্য কি বাজারে অন্য কোন কোম্পানি রয়েছে কি না। থাকলেও সেখানে প্রতিযোগিতা কেমন এসব বিষয়গুলো মূলত বাজার গবেষণা সেক্টরের মধ্যে পড়ে।

মার্কেটিং বিভাগে যদি আপনি ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে বাজার গবেষণা সেক্টরে কাজ করতে পারেন।

 

২. প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ সেক্টর: আপনি যখন একটি কোম্পানির কোন পণ্য বাজারে ছাড়তে যাবেন। তখন কিন্তু আপনার জানতে হবে এ পণ্যটি কতগুলো প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি উৎপন্ন করে। আর করলেও তাদের সাথে আপনার কোম্পানির কম্পেয়ার যদি হয় তাহলে কেমন হতে পারে।

এসব বিষয় গুলো মূলত প্রতিযোগী বিশ্লেষণ সেক্টরে কাজ। প্রতিযোগী বিশ্লেষণ সেক্টর মূলত কিভাবে একটি পণ্যকে অন্য কোম্পানির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকতে হয়, কিভাবে তাদের থেকে ভালো সার্ভিস ভোক্তাদের দেওয়া যায়, এসব বিষয়গুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করে থাকে।

আপনি যদি আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে চান মার্কেটিং এর উপর, তাহলে এই সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে চাইলে কাজ করতে পারেন। দিনকে দিন এ প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ সেক্টরের কাজের চাহিদা আরো বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করে থাকে।

 

৩. ক্রয় ও বিক্রয় সেক্টর: বিক্রয় সেক্টর বা ক্রয় সেক্টর হলো এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে আপনার কোম্পানি বিভিন্ন পণ্য যখন বাজারে লঞ্চ করে। তখন ওই পণ্যটির দাম বেশি হলে বা কম হলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

এতে করে আপনার কোম্পানি লসের মুখ দেখতে পারে। আবার হতে পারে আপনার পণ্যের বেশি দাম হওয়ায় ক্রেতাগণ পণ্যটি কিনেছেন না। আবার দেখা যায় আপনার পণ্যের দাম কম হওয়ায় ক্রেতাগণ বিশ্বাসের অভাবে আপনার কোম্পানির পণ্য কিনছে না।

ক্রয়- বিক্রয় সেক্টর সাধারণত এইসব বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে। তাছাড়া ক্রয় বিক্রয় সেক্টরে পন্য কি রকম বিক্রি হচ্ছে। বিক্রয় হলে ও কতটা প্রফিট অর্জন করতে পারছে, বিক্রয় হচ্ছে না কেনো।

এসব বিষয়গুলো মূলত ক্রয় বিক্রয় সেক্টর হাতে থাকে। ক্রয়-বিক্রয় সেটা মূলত বিভিন্ন ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে থাকে৷ আপনি যদি মার্কেটিংয়ের পড়াশোনা করতে চান তাহলে এই সেক্টরে কাজ করতে পারবেন। কেননা এখানে প্রচুর পরিমাণে কাজ করার চাহিদা রয়েছে।

 

৪. ভোক্তা আচরন সেক্টর: যখন আপনার কোম্পানি কোন নতুন পণ্য বাজারে রিলিজ করবে। তখন কিন্তু ওই পণ্যটি ভোক্তাদের কি রকম চাহিদা রয়েছে এগুলো আপনাকে বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনাকে জানতে হবে যে আপনার কোম্পানির পণ্যটি ভোক্তারা কিরূপ প্রতিক্রিয়া বা মন্তব্য করে।

যখন তারা এই পণ্যটি ব্যবহার করে তারা কি এই পণ্যের কোয়ালিটি আরো ভালো চায় না, তারা কি উক্ত পন্য টির দাম আর কম চায় নাকি বেশি চায়। তারা কি আরো ভালো কোয়ালিটির কোন পণ্য চায়। এসব বিষয়গুলো মূলত ভোক্তা আচরণ সেক্টরে ভিতরে পড়ে।

ভোক্তা আচরণ হলো মূলত ভক্তদের বিভিন্ন আচার আচরণে জানার জন্য মার্কেটিং বিষয়ের উপর দক্ষতা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করা। আপনি যদি মার্কেটিং বিষয়ের উপর নিজের ক্যারিয়ার গড়তে বা শুরু করতে চান তাহলে ভোক্তা আচরণ সেক্টরে ও প্রচুর পরিমাণে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার চাহিদা রয়েছে।

 

মার্কেটিংয়ের চাহিদা কেমন?

মার্কেটিং এর চাহিদা সব সময় ছিল আর মার্কেটিং এর চাহিদা সব সময় থাকবে। সেই সাথে বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন ঊর্ধ্ব গতিতে বেড়েই চলছে। আর আপনি যদি মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার বিষয়ে চিন্তিত হন তাহলে আমি বলব চিন্তার কোন কারণ নেই।

কারণ খুব সহজেই আপনি মার্কেটিং করে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। কেননা মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করার চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে, যেই চাহিদা টা আপনার প্রয়োজন। আপনি যদি এরপরও মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়া সম্পর্কে চিন্তিত হন! তাহলে আমার উপদেশ হল একজন মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ বা মার্কেটিং টিচারের পরামর্শ নেন।

যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সবকিছু পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন। কেননা একজন টিচার ই আপনাকে সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে বলতে পারবে যে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করলে আপনার ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা কেমন। এছাড়াও আপনি চাইলে নিজে নিজেই চিন্তা করতে পারেন। যে, কিভাবে আপনি মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়বেন বা মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়লে আপনার কেমন লাগবে।

কেননা অনেক সময় দেখা যায় না পরিবার থেকে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে বলা হয়। কিন্তু আপনার মার্কেটিং নিয়ে পড়ার কোনো আগ্রহ ই নেই। তাহলে আমি প্রথমে আপনাকে বলছি আপনার মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করার কোন প্রয়োজন নেই। কেননা আপনি যে জিনিসটার প্রতি আকর্ষিত থাকবেন যে জিনিসটা প্রতি আপনার আকর্ষণ থাকবে।

ওই জিনিসটা নিয়ে ই আপনি পড়াশোনা করতে আগ্রহী হবেন। এতে করে আপনি ভবিষ্যতে ওই জিনিসটা বাবি সেক্টরের খুবই ভালো করতে পারবেন যেহেতু আপনার এ জিনিসটা করার প্রবল ইচ্ছা এবং আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।

এখন আপনার কাছে যদি মার্কেটিং বিষয়টি খুবই ভালো লেগে থাকে। আর আপনি মার্কেটিং সম্পর্কে বা মার্কেটিং এর উপর বিভিন্ন বই একটু পড়ার পর যদি ভাবেন হ্যাঁ মার্কেটিং নিয়ে পড়লে আমার খুব ভালো হবে। আমি মার্কেটিং নিয়ে পড়তে আগ্রহী।

তাহলে হ্যাঁ অবশ্যই আপনার চোখ বুজে নিশ্চিন্তে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। আর মার্কেটিং এর চাহিদা বাজারে কেমন রয়েছে সেটা নিয়ে আপনাকে একদমই ভাবতে হবে না।কেননা দিন দিন প্রচুর পরিমাণে মার্কেটিং এর চাহিদা বাড়ছে।

বর্তমান সময়ে এমন কি অন্য সেক্টরের মানুষ মার্কেটিংয়ের একটা কোর্স করার মাধ্যমে মার্কেটিং শেখার পর তারা বর্তমান বাজারে মার্কেটিং এর ঘাটতি থাকায় নিজেরাই মার্কেটিং সার্ভিস দিচ্ছে। একবার ভাবুন মার্কেটিং এর চাহিদা যদি এতই ভালো না হতো তাহলে কি অন্য সেক্টরের কেউ এই সেক্টরে কাজ করতো

এইজন্যই ভাবতে হবেনা মাইকের সেট এর চাহিদা কেমন আছে বাজারে কেননা বাজারে মার্কেটিং সেক্টরের চাহিদা প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আপনি যদি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আজ থেকে শুরু করে দিতে পারেন। আর যদি আপনি আগে থেকে মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতেছেন তাহলে কন্টিনিউ পড়াশোনা চালিয়ে যান।

 

শেষকথা

আজকের এই আর্টিকেলে মার্কেটিং নিয়ে অনেক ধরনের তথ্য শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে আপনি বাকেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারেন। সেই সাথে যেন আরও জানতে পারেন মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করলে আপনার ক্যারিয়ার কেমন হবে এবং আপনি কি কি সেক্টরে মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার করতে পারবেন।

আশা করি আপনি আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন যে মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় গুলো। এর পরও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার সমস্যাটা সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তো আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল মার্কেটিং নিয়ে ক্যারিয়ার গড়া সম্পর্কে।

আর হ্যাঁ আপনি যদি নতুন কোন বিষয়ে নতুন কোনো আর্টিকেল চান, তাহলে উক্ত বিষয়টি কমেন্ট করে লিখে আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা খুব শীঘ্রই আপনার বিষয়টি নিয়ে নতুন লেখা পাবলিশ করার চেষ্টা করব।

আপনার কোন বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনেরা যদি মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় বা মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হয়। কিন্তু জানে না যে মার্কেটিং নিয়ে কি কি বিষয়ে বা কি কি সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া যায়, তাহলে তাদের সাথে এই আর্টিকেলের শেয়ার করতে পারেন। এতে করে তারা মার্কেটিং সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবে।

আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল, দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।

 

 

Updated: April 11, 2022 — 6:07 pm