আসসালামু আলাইকুম। পরম করুনাময় আল্লাহর কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে আল্লাহ আপনাকে এবং আমাকে অনেক ভালো রেখেছে। আজকে বর্তমান সময়ে সাইবার হামলা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আপনারা পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আজকে কোন বিষয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো ,ডার্ক ওয়েব। ডার্ক ওয়েব এমন একটি জিনিস যার নাম শুনলে মানুষ অনেক ভয় পায়। কিন্তু আসলে এখানে ভয় পাওয়ার কোনো বিষয় নেই ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানতে হবে কারণ আপনারা যদি ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে না জানেন তাহলে আপনারা নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন না।
সুতরাং আপনার নিজের ভালোর জন্য নিজের সুবিধার জন্য আপনাকে এসব বিষয় সম্পর্কে অবশ্য ধারণা থাকতে হবে।
ডার্ক ওয়েব কি?
হয়তোবা আপনারা ভাবতে পারেন ডার্ক ওয়েব হল একটি কালো ওয়েব। আসলে কাল ওয়েব বলতে কিছুই নেই তার মানে হচ্ছে একটু গভীর জায়গা অর্থাৎ ইন্টারনেটের একটু গভীর জায়গা। আমরা যে ইন্টারনেটের ব্যবহার করছি সেই ইন্টারনেট টুকু যদি আমি 100% সাথে তুলনা করি তাহলে আমরা যেটুকু ব্যবহার করি সেটি হচ্ছে মাত্র 5 থেকে 10% তারমানে এখন আপনি ভাবতে পারছেন বাকি ইন্টারনেট টুকু গেল কোথায়।
আসলে ইন্টারনেটের ভাগে জায়গাটুকু জুড়ে রয়েছে ডার্ক ওয়েবের ভিতরে। তাহলে আপনি কল্পনা করতে পারছেন না ডার্ক ওয়েব টুকু কত বড়। সুতরাং এখানে অনেক কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সত্যি কথা বলতে পারবে ডার্ক ওয়েবের ভেতরে আপনারা যত অবৈধ কাজ আছে সবকিছু করতে পারবেন। কিন্তু এই কাজগুলো করা একদম ঠিক নয় আপনারা অবশ্যই এই কাজগুলো থেকে বিরত থাকবেন।
পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত এবং কুখ্যাত হ্যাকার রয়েছে যারা মানুষকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে অর্থাৎ আমি বিখ্যাত বলার কারণ হলো অনেক হ্যাকার রয়েছে যারা মানুষের উপকারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আবার অনেক হ্যাকার রয়েছে যারা মানুষের ক্ষতি করার জন্য সব সময় পিছনে পড়ে থাকে। সুতরাং আপনাদের এইসব একারে কাছ থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে। না হলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো একার চুরি করে নেবে এতে করে আপনার অনেক বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে।
আপনি ভেবে দেখুন আপনার বড় একটি কোম্পানি রয়েছে এবং আপনার কোম্পানি হলো অনলাইন বেস্ট একটি কোম্পানি। তাহলে আপনাকে অনলাইনে সব কাজ করতে হয় ।আপনার কোম্পানির যাবতীয় যত কাজ গুলো রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ করতে কোন না কোন সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করে থাকেন। এই সফটওয়্যার গুলো আপনি ধরুন একটি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি থেকে বানিয়ে নিয়েছেন।
লাখ লাখ টাকা খরচা করে সেসব সফটওয়্যার বানানো হয়। কিন্তু একটি হ্যাকারগ্রুপ আপনার সেই সফটওয়্যার গুলো কে নিয়ে নিল। এবং সে সফটওয়ারগুলোর কর্ডিং গুলো রয়েছে সেগুলো অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিল। এতে করে আপনার কোম্পানির অনেক বড় একটি ক্ষতি হয়ে যাবে এবং আপনার কোম্পানির যাবতীয় তথ্য গুলো হ্যাকারের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
সুতরাং আপনার বিজনেসের অনেক বড় একটি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এখন বলতে পারেন তার গভীর সাথে এর কি সম্পর্ক। আমি এটি ধারণা দিচ্ছি মাত্র আপনারা যদি ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের নিরাপত্তার সাথে প্রবেশ করা উচিত ডার্ক ওয়েবে কিভাবে প্রবেশ করবেন সেই বিষয়ে এই পোস্টে খানিকটা বলা হবে।
আপনারা কিভাবে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারেন:
দেখুন ডার্কওয়েবে যেসব ওয়েবসাইট রয়েছে সেগুলো নরমাল কোন ওয়েবসাইট নয় অর্থাৎ আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পারবেন ডার্কওয়েবে সব ওয়েবসাইট এর ডোমেন নেম এর পেছনে .onion এই শব্দটি লেখা রয়েছে। সুতরাং আপনি বলতে পারছেন এই ওয়েবসাইটগুলো নরমাল কোন ব্রাউজার দিয়ে চালানো সম্ভব নয়।
আপনাকে অবশ্যই এক্ষেত্রে বিশেষ কোন ব্রাউজার ব্যবহার করতে হবে যার মাধ্যমে আপনি এই ওয়েবসাইট গুলো খুব সহজেই একসেস করতে পারেন। এর জন্য অবশ্যই ওপেনসোর্স সফটওয়্যার রয়েছে আপনারা চাইলে গুগল প্লে স্টোর থেকে টর ব্রাউজার ডাউনলোড করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা যদি চান কম্পিউটারে ব্যাবহার করতে তাহলে কম্পিউটারের জন্য টর ব্রাউজার রয়েছে।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটি যেহেতু একটি অবৈধ জায়গা সুতরাং এটি এইভাবে অপেন রাখা হয়েছে কেন?
আসলে এটা নেট জগতে সবাই চায় নিরাপদ থাকার জন্য অর্থাৎ কেউ যাতে কারো তথ্য না দেখে সেই জন্য, মূলত ডার্ক ওয়েব দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ডার্কওয়েবে আপনি কারো আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করতে পারবেন না। অর্থাৎ এই লোকটা বর্তমানে কোন দেশ থেকে আপনার সাথে কথা বলছে আপনি সেটা বুঝতে পারবেন না। আপনি যদি সেটা বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবেন কি করে।
আমি যদি ডার্ক ওয়েব থেকে কোন পণ্য কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সে ক্ষেত্রে কোন প্রকার টাকা দিয়ে কিনার উপায় নেই। আপনাকে এক্ষেত্রে বিটকয়েনের ব্যবহার করতে হবে। বিটকয়েন সম্পর্কে যদি কেউ না জানেন তাহলে পরবর্তীতে আমি বিটকয়েন নিয়ে অবশ্যই আপনাদের সামনে পোস্ট নিয়ে আসব এতে করে আপনারা বিটকয়েন সম্পর্কে পুরোপুরি একটি ধারণা পেয়ে যাবেন।
ডার্ক ওয়েবে কোন ছোট বাচ্চা প্রবেশ করা থেকে না করা অনেক ভালো। ডার্ক ওয়েবে আপনি এমন অনেক লোক খুঁজে পাবেন যারা মানসিকভাবে অনেক খারাপ। এমন কথা কেন বলছি আপনারা অনেকেই হয়তো শুনে থাকবেন রেড রুম এর বিষয়ে। যেখানে অনেক মানুষকে অনেক অতাচার করা হয় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। সে ক্ষেত্রে এই ভিডিওগুলো ডার্কওয়েবে সরাসরি দেখানো হয় কিছু টাকার বিনিময়ে। সুতরাং আপনি ভেবে দেখতে পারছেন এটা কত বড় একটি খারাপ কাজ।
সুতরাং যারা এই কাজের সাথে জড়িত তারা মানসিকভাবে অনেক খারাপ এই কথাটা বলা কোনভাবে ভুল হবেনা। । যেমন আপনারা যারা গুগোল ড্রাইভ ব্যবহার করেন গুগল ড্রাইভে তথ্য গুলো রয়েছে সেগুলো ডিপ ওয়েবে রাখা রয়েছে। ডিপ ওয়েব হচ্ছে ডার্ক ওয়েবের উপরের অংশ অর্থাৎ ডার্ক ওয়েব হল আরও গভীর কিন্তু ডিপ ওয়েব একটু উপরের।
আপনারা যারা আরও বেশি জানতে চান অবশ্যই আপনারা ইউটিউবে এ নিয়ে বিস্তারিত ভিডিও দেখতে পারেন কিন্তু আমি উপদেশ দেবো কেউ ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করবেন না কোন কারণ ছাড়া। ধন্যবাদ।