ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোনটি বেশি দরকারি ল্যাপটপ নাকি কম্পিউটার?

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করছি সবাই ভালো আছেন। ফ্রিল্যান্সিং আমরা সকলেই করতে চাই। তার জন্য আমরা অনেক কিছু করে থাকি। অনেক জায়গা থেকে কোর্স করে থাকি। অনেক পরিশ্রম করে থাকি। এবং অনেকে অনেক টাকা দিয়ে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে। এবং অনেকেই আছে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে বলে ভাইয়া আমি এই কাজ করতে চাই আমার কি ল্যাপটপ প্রয়োজন নাকি কম্পিউটার প্রয়োজন? আজকে পুরোটা জুড়েই আপনাদের মাঝে এই জিনিসটা পরিষ্কার করে দেব। আপনারা কোন কাজের জন্য কোনটি ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাপটপ এবং কম্পিউটারের মধ্যে তুলনামূলক পার্থক্য কি?

ল্যাপটপ এবং কম্পিউটার সম্পর্কে ধারণাটা আগে ক্লিয়ার করা যাক। আসলে ল্যাপটপ মূলত এত ভারী কাজের জন্য ব্যবহার করা হয় না। আমি বলতে চাচ্ছি যারা অতিরিক্ত গ্রাফিক্সের কাজ করতে চান, বা যারা অনেক বড় বড় ভারি ভারি গেম খেলতে চান, মূলত তাদের জন্য ল্যাপটপ আমি কম্ফোর্টেবল মনে করিনা।

এসব কাজের জন্য কম্পিউটার অনেকটা ভালো হবে। কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে একটি সাধারন পার্থক্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আপনি একটু চিন্তা করলেই দেখতে পাবেন ল্যাপটপ মূলত কিন্তু চলে ব্যাটারি চার্জে। কিন্তু কম্পিউটারে ক্ষেত্রে এমনটা হয় না কম্পিউটার সরাসরি কারেন্ট ছাড়া চলে না। আপনাকে এক্ষেত্রে বুজতে হবে ইলেকট্রিসিটি হলো এমন একটি ক্ষমতা যা কম্পিউটারকে অনেক সাহায্য করে ভারি ভারি কাজগুলো করতে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য কোনটি দরকারি?

এখন আসি আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং শিখতে চাচ্ছেন। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করার জন্য আমি মূলত আপনাদের বলব কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য। কিন্তু আপনারা যদি ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাহলে কোন সমস্যা নাই কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার ল্যাপটপের কনফিগারেশন যাতে অনেক ভালো হয়। এখন বলতে পারেন এটা আবার কিভাবে চিনব?

আমি পরবর্তীতে এ নিয়ে আপনাদের কাছে পোস্ট নিয়ে আসবো আপনারা কিভাবে ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কনফিগারেশন কম্পেয়ার করতে পারবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কোনটি দরকারি?

ওয়েব ডেভলপমেন্ট করতে এত ভারী কোন সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় না। সাধারণত নোটপ্যাড দিয়ে অনেক কঠিন করা যায়। এছাড়া বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভি এস কোড সবাই ব্যবহার করে। এবং আপনি যদি ভি এস কোড ব্যবহার করেন তাহলে ল্যাপটপে খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ভারি কোন কনফিগারেশন প্রয়োজন নাই।

যেহেতু ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর সব কাজ কোডিং মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর মধ্যে এক গ্রাফিক্সের এত বেশি কোন কাজ নেই সে ক্ষেত্রে আপনারা কম্পিউটারের চেয়ে ল্যাপটপ নিলে সবচেয়ে প্রকৃত হবেন। দেখা যাবে প্রোগ্রামিং এ কোন সমস্যা হলে আপনারা খুব সহজেই ল্যাপটপটা আপনাদের সাথে নিয়ে যেতে পারছেন যে কোন জায়গায়। কিন্তু কম্পিউটারে ক্ষেত্রে এটা সম্ভব নয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিকল্প মাধ্যম চিন্তা করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করতে কি প্রয়োজন?

ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো কথাটা বলা হলো এ কারণেই বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম একটি মাধ্যম এটি। দেখুন এক্ষেত্রে অনেক কিছু হতে পারে ডাটা এন্ট্রির জন্য। আপনাকে বিভিন্ন আর্টিকেল লিখতে হতে পারে। আপনাকে প্রোডাক্ট সম্পর্কে অনেক কিছু লিখতে হতে পারে। বা ইন্টারনেট থেকে অনেক তথ্য সংরক্ষণ বা খুঁজে বের করার কাজ হতে পারে।

এই কাজগুলো মূলত ডাটাএন্ট্রির অন্তর্ভুক্ত। এবং এসব কাজ করার জন্য সাধারন ল্যাপটপ বা কম্পিউটার হলেই যথেষ্ট। কিন্তু আমি বলব ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আপনাদের কম্পিউটার নিলে ভালো হয়। কারণ আপনারা অনেক কাজ খুব সুন্দর করে করতে পারবেন। আসলে ল্যাপটপ এ কাজগুলো করলে অনেক চাপ পড়ে যায় ল্যাপটপের মাদারবোর্ডের ওপরে। সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করা অনেকাংশে ভালো। কিন্তু ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো ল্যাপটপ দিয়ে খুব সহজে অনায়াসে করা যায় এতে কোন সমস্যা হয় না।

গেমিং ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার জন্য কি দরকার?

গেমিং ইউটিউব চ্যানেল শুরু করার জন্য আমি বলব প্রথমত আপনাকে কম্পিউটারে নেওয়া দরকার। যারা ভাবছেন ভারি ভারি গেম খেলবেন, অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি কম্পিউটারের যে গেম গুলো রয়েছে সেগুলো খেলবেন তাহলে অবশ্যই আপনি ল্যাপটপের চেয়ে কম্পিউটার অনেক ভালো হবে।

দেখুন গেম এমন একটা জিনিস সেটা আপনি খেলতে গেলে আপনার মাদারবোর্ডের ওপর অনেক প্রেসার পরে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এর দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং আমি ইতিমধ্যে বলে এসেছি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই এর দিক থেকে কম্পিউটার সবচেয়ে ভালো। কারণ ব্যাটারির সামান্য চার্জের ল্যাপটপের সব যন্ত্রাংশের সমান বিদ্যুৎ পৌঁছায় না। এক্ষেত্রে আপনি গেমিংয়ের যে পারফরম্যান্স সেটা অনেকাংশে কম পাবেন।

কিন্তু কম্পিউটারে ক্ষেত্রে বিষয়টা একদম ভিন্ন আপনি খুব সহজেই গেমিং পারফরমেন্স অনেক ভাল আশা করতে পারেন। এছাড়াও আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটারের কনফিগারেশন উপরে নজর দিতে হবে। যদি আপনি গেমিং করতে চান তো। গেমিং এর জন্য সবচেয়ে বুদ্ধিজনক উপায় হলো আপনার মাদারবোর্ড যাতে শক্তিশালী হয়। আমি আশা করব আপনারা সেদিকে অবশ্যই খেয়াল দেবেন।

ভিডিও এডিটিং কাজ করার জন্য কি দরকারী?

ভিডিও এডিটিং মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ভিডিও এডিটিং অনেক কঠিন একটি কাজ। যারা যারা ভিডিও এডিটিং করেন তাঁরা যানেন ভিডিও এডিটিং করার জন্য আপনাকে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার প্রয়োজন হয়। আপনি যদি অনেক ভালো ভিডিও টিং করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার নিতে হবে ল্যাপটপে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

তার কারণ আপনি অবশ্যই বুঝতে পারছেন ল্যাপটপের কনফিগারেশন এর সাথে ভিডিও এডিটিং অনেকটা বেমানান। এক্ষেত্রে অনেক ভাই বলতে পারেন ল্যাপটপের কনফিগারেশন যদি অনেক ভালো হয় সে ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং করা যায়। হ্যাঁ তাদের জন্য বলব ঠিক আছে কথাটা। কিন্তু সবচেয়ে ভালো এবং আরাম করে যদি কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কম্পিউটার বেছে নিতে হবে।

আপনাদের মাঝে একটু কম্পেয়ার করার চেষ্টা করলাম কিভাবে আপনারা সঠিক জিনিসটা উপলব্ধি করতে পারেন আমার কোনটা প্রয়োজন। আশা করছি এই জিনিসটা নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো সমস্যা হবে না যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কোনটা নিবেন সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন আজকে অবশ্য সেটা ক্লিয়ার হয়ে গেছেন। এবং পরবর্তীতে আমি কনফিগারেশন নিয়ে বিস্তারিত আপনাদের মাঝে বলব আপনারা কিভাবে ভালো কনফিগারেশন চিনতে পারেন বিভিন্ন কাজের জন্য। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

 

Updated: April 7, 2022 — 5:04 pm