গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লিংক

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহজেই করে ফেলতে পারেন ঘরে বসেই৷ বহু বছর ধরেই মেডিকেলের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবার জন্য বহু বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা বলে আসলেও উপাচার্যদের একমতে পৌছা হচ্ছিল না বলে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনের ভেতর পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্নতা আর ক্যারিয়ার নিয়ে দুঃশ্চিন্তা মাথায় নিয়েও দেশময় ঘুরে বেড়াতে হতো পরীক্ষা দিতে।

করোনা মহামারী যেন এ ব্যাপারে শাপেবর হয়েছে, অবশেষে বিশটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এক সঙ্গে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আসল ধন্যবাদ অবশ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমানের প্রাপ্য, উদ্যোগটা তিনিই নিয়েছেন।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন লিংক

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন কিভাবে করতে হবে, ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লিংকে গিয়ে আলাদা ভাবে আবেদন করতে হবে কিনা, এসব প্রশ্ন আছে অনেকেরই৷ যেহেতু ব্যাপারটি নতুন, তাই প্রশ্ন আসতেই পারে। এমন সব প্রশ্নের জবাবে সমাধান নিয়ে হাজির আমরা।

GST ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০-২১

আবেদনের জন্য আপনাকে আলাদা আলাদা লিংক যেমন খুঁজতে হবে না, করতে হবে না আলাদা আলাদা আবেদনও৷ প্রাথমিক আবেদনের জন্য http://gstadmission.ac.bd লিংকে ঢুকতে হবে। একই লিংকে গিয়ে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিটি প্রথমে একবার খুব ভালো করে পড়ে নেওয়া যেতে পারে।

প্রাথমিক আবেদনের যোগ্যতা 

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা মোট ৮ পয়েন্ট পেলে, এবং মানবিক ও বানিজ্যের শিক্ষার্থী ৭.৫০ পয়েন্ট পেলেই তারা আবেদন করতে পারবে৷ তবে কোন শিক্ষার্থী যে কোন একটি পরীক্ষায় যদি ৩.৫০ এর কম পয়েন্ট পায়, তার আবেদনের কোন সুযোগ নেই।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া ২০২১

GST (General Science & Technology) বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে (গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় রাজী হওয়া  বিশটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘জিএসটি’ বলা হচ্ছে।)  আবেদনের জন্য জিএসটি – এর ওয়েবসাইটে ঢুকে যে ইউনিটে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সে ইউনিটে ক্লিক করলেই ভর্তি ফরম দেখাবে৷ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সকল তথ্য দিয়ে  সঠিকভাবে পূরণ করার পর সব কিছু ঠিক থাকলে সাবমিট করার অপশন আসবে। সাবমিট করে দিলেই আপাতত দায়িত্ব শেষ, সময় অপেক্ষার।

রোল এবং রেজিষ্ট্রেশন নম্বর যত্নের সাথে পূরণ করতে হবে, কারণ পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে প্রাথমিক বাছাই।

প্রাথমিক বাছাইয়ের প্রক্রিয়া 

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার গ্রেড, প্রাপ্ত নম্বর, পদার্থ কিংবা বাংলায় প্রাপ্ত গ্রেড, রসায়ন কিংবা ইংরেজীতে প্রাপ্ত গ্রেড – এই ছয়টি বিষয় ধারাবাহিক ভাবে নিয়ে প্রাথমিক বাছাই করা হবে, উপরের দিকে থাকা নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পাবে। চূড়ান্ত আবেদনের প্রক্রিয়া যথাসময়ে অর্থাৎ প্রাথমিক বাছাইয়ের তালিকা প্রকাশের পরই জানিয়ে দেয়া হবে৷ এ ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা আবেদন ফি মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ / রকেট / নগদ) এর মাধ্যমে প্রদান করে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপথ ডাউনলোড করতে হবে।

কেন্দ্র পছন্দ 

চূড়ান্ত আবেদনের সময় কেন্দ্র বাছাই করার সুযোগ দেয়া হবে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে। প্রতি শিক্ষার্থী পাঁচটি কেন্দ্র পছন্দ করতে পারবে৷ কেন্দ্র পছন্দের ক্ষেত্রে প্রাথমিক বাছাইয়ের বিষয়গুলোর মাধ্যমেই এগিয়ে থাকা শিক্ষার্থীর পছন্দকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে৷

পরীক্ষা ও ফলাফল 

১৯ জুন, ২৬ জুন , ২ জুলাই যথাক্রমে A, B ও C ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ পরীক্ষার পূর্ণমাণ ১০০। সময় ১ ঘন্টা।

ফলাফলের তারিখ পরে জানিয়ে দেয়া হবে। 

করোনার এমন পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যেমন ঝুঁকির, তেমনি ঘর থেকে বেরিয়ে কম্পোজ-প্রিন্টিং এর দোকানে গিয়ে আবেদন করাও নিরাপদ নয়। তাই ঘরে থেকেই যাতে সহজে আবেদন করে ফেলতে পারেন, তার জন্যই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস।