একজন ছাত্র হিসাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের সেরা উপায়গুলি কী কী?

একজন ছাত্র হওয়া প্রায়ই একজন ব্যক্তির জীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। যাইহোক, অধ্যয়ন একটি পূর্ণ-সময়ের পেশা, এবং তাই যে ছাত্ররা কিছু অর্থ উপার্জন করতে চায় তারা খণ্ডকালীন চাকরি খোঁজা শুরু করে যা তাদের পড়াশোনাকে প্রভাবিত করে না।

ছাত্রদের জন্য অন্যান্য উদ্বেগ হল কিভাবে একটি বড় বিনিয়োগ না করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করা যায়, বা ন্যূনতম অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় এমন চাকরি খোঁজা যায়।

এবং এখানে ভাল খবর. শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকৃতপক্ষে বেশ কয়েকটি অনলাইন খণ্ডকালীন চাকরি রয়েছে, যেখানে তারা ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারে।

অনলাইনে অর্থ উপার্জনে প্রয়োজন কি?

তাহলে পরের প্রশ্ন হল অনলাইনে অর্থ উপার্জনের প্রয়োজন কি? আমরা সবাই জানি যে 2020 সালের পরিবেশ কেমন ছিল। 2020 সাল আমাদের বাড়িতেই কেটেছে। শুধুমাত্র আপনার জন্যই নয়, আপনার পরিবার এবং আপনার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য বাইরে পা রাখা বিপজ্জনক। এভাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয়তা হয়ে ওঠে। আপনি একজন ছাত্র, একজন শিক্ষক, একজন গৃহিণী বা এমন কেউ হতে পারেন যিনি পুরো সময় কাজ করছেন কিন্তু তবুও অনলাইন উৎসের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারেন।

অতিরিক্ত টাকা আইসক্রিমের উপরে অতিরিক্ত চকলেটের মতো। একটি অতিরিক্ত আয় সহজে পেতে সাহায্য করে. এটি আপনাকে আপনার বড় কেনাকাটার জন্য আপনার প্রধান আয় সঞ্চয় করতে দেয়। আয়ের অতিরিক্ত উৎস আপনাকে আপনার উৎসকে বৈচিত্র্যময় করতে সাহায্য করে। এমনকি আপনার মূল উৎসের সাথে কিছু ভুল হয়ে গেলেও সবসময় এমন কিছু থাকে যা আপনাকে সহজেই পেতে পারে।

অনলাইনে টিউটরিং শুরু করুন

শিক্ষার্থীরা ক্রমাগত নতুন জিনিস শিখছে, তাই অনলাইনে অর্থ উপার্জনের একটি সহজ উপায় হল এই জ্ঞানের কিছু অংশ শেয়ার করা। আপনি স্কুলের বাচ্চাদের শিক্ষকতা করতে চান বা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোর্স সরবরাহ করতে চান যারা নতুন কিছু শিখতে চান, আপনার যা দরকার তা হল একটি দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগের অ্যাক্সেস।

প্রয়োজনীয়তা কি? – এখানে খুব কম আর্থিক বিনিয়োগ জড়িত আছে, যদিও আপনাকে কিছু শিক্ষণীয় দক্ষতা বাড়াতে হবে।

আপনি কত উপার্জন করতে পারেন? – আপনার দক্ষতার স্তর এবং বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, আপনি প্রতি ঘন্টায় 200-500 পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।

আপনি এই কাজ চালিয়ে যেতে পারেন? – যদিও টিউটরিং একটি কার্যকর ফুল-টাইম কাজ নাও হতে পারে, আপনি হয় এই পার্ট-টাইম কাজ চালিয়ে যেতে পারেন অথবা আপনি যদি এটির জন্য উপযুক্ততা দেখান তবে আপনার অধ্যয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকতার চাকরিগুলি দেখুন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

বর্তমানে গ্রাফিকস ডিজাইন এর ওপর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া, গ্রাফিক ডিজাইনারদের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ্রাফিক ডিজাইন এর অনেক গুলো ক্যাটেগরি বা ক্ষেত্র রয়েছে। যেগুলোর কোন একটি টপিক এর ওপর দক্ষতা অর্জন করে অনলাইনে সেবা প্রদান করতে পারেন।

যেকোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান এর জন্য লোগো ডিজাইন থেকে শুরু করে Business Card, Web Design, Marketing & Advertising Design, UI/UX design, Apparel Design, Photo Editing সহ আরও অনেক রকমের কাজ আছে এই গ্রাফিকস ডিজাইন এর ওপর।

বর্তমানে প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এর জন্যই গ্রাফিকস ডিজাইন এর প্রয়োজন পড়ে। ফলে এই সব কাজ জন্য ভাল মানের গ্রাফিক ডিজাইনারদের দরকার হয়ে থাকে।

ছাত্রদের অনলাইনে ইনকাম (Student Online Income) করার একটি জনপ্রিয় উপায় হতে পারে গ্রাফিকস ডিজাইন।

পড়াশোনার পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইন স্কিল টি শিখে নিয়ে অনলাইনে কাজ করা যেতে পারে।

অনলাইনে বেশ কিছু ফ্রিলান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন এর ওপর অনেক কাজ পাওয়া যায়। এরকম একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হল ফাইভার। এখানে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত কাজ বা সেবা প্রদান করতে পারেন।

গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে কিছুটা সময় নিয়ে শিখতে হবে। অনলাইনে প্রচুর রিসোর্স আছে যেগুলো থেকে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কে বেশ ভাল আইডিয়া নিতে পারবেন।

বাংলা লেখালেখি করে ইনকাম

যারা বাংলা লেখালেখি করে ইনকাম করতে চাও ছাত্র তাড়াতাড়ি এটা সবচেয়ে ভালো একটি ইনকামের উপায় হতে পারে। বর্তমান সময়ে পেশায় অনেক ছাত্র জড়িয়ে পড়ছে।

তোমাদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করার জন্য এবং নিজের লেখার দক্ষতা কাজে লাগানোর জন্য এই কাজ করতে পারো। এছাড়াও বাংলাদেশ অনেক লেখালেখি করার ওয়েবসাইট রয়েছে তুমি চাইলে সেসব ওয়েবসাইটে সহজেই তোমার লেখাগুলো সাবমিট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারো।

ব্লগিং করে ও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। এতে এত সময় নষ্ট হয় না। তোমরা ছেলে ফিরে blogger.com থেকে একটা ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করে নিতে পারো যেটার মাধ্যমে খুব সহজে তুমি তোমার লেখাগুলো হাজার হাজার লোকের সামনে তুলে ধরতে পারবে। এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবে।

একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা

ছাত্র হিসেবে একটা ইউটিউব চ্যানেল সহজে শুরু করে ফেলা যায়। তোমরা চাইলে খুব সহজেই একটা পড়াশোনার ইউটিউব চ্যানেল শুরু করতে পারো। পড়াশোনা বিষয়ক ইউটিউব চ্যানেল শুরু করা এত বেশি কঠিন হবে না কারণ তোমরা বর্তমান সময়ে পড়ছো।

নিজের পড়াশুনার পাশাপাশি তোমার হাতে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে তুমি যে বিষয়গুলো সবচেয়ে ভালো বোঝো সেগুলো সবাইকে বোঝাতে পারো। এবং এটা বোঝানোর মাধ্যমে খুব সহজে অনেক টাকা ইনকাম করে নিতে পারো। এছাড়াও তোমার যদি অনন্য দক্ষতা থাকে যেমন কার্টুন ভিডিও তৈরি করার দক্ষতা এছাড়াও ভ্রমণের ভিডিও তৈরি করার দক্ষতা থাকলেও তোমরা সেটা নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল শুরু করে দিতে পারো।

তোমাদের মাঝে যে আইডিয়া গুলো দিলাম সেগুলো অনুসরণ করার চেষ্টা করবে তাহলে তোমরা ছাত্র বয়সে খুব সহজে ইনকাম করতে পারবেন। পরবর্তীতে কিভাবে এই বিষয়গুলো তোমরা অনুসরণ করতে পারো সেটা নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট আসবে ইনশাল্লাহ।

 

Updated: April 26, 2022 — 2:39 pm