বর্তমান সময়ের ডিজিটাল যুগে ফেসবুক ইউটিউব ইন্সট্রাগ্রাম টুইটার ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে একাউন্ট খোলার জন্য জিমেইল একাউন্ট বা গুগোল একাউন্ট এর প্রয়োজন হয়। জিমেইল অ্যাকাউন্ট আর গুগল অ্যাকাউন্ট একই। আপনি যদি গুগল একাউন্ট খুলেন তাহলে সেটা দিয়েই ইমেইল করতে পারবেন।
জিমেইল বা গুগল একাউন্ট দুটো আলাদা কোন একাউন্ট নয়। জিমেইল হলো গুগল(Google) এর একটি ইমেইল সিস্টেম। এই জিমেইল এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেইলে ইমেইল পাঠানো যায়। সেই সাথে গুগল একাউন্ট দিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খোলা যায়।
জিমেইল আইডি কিভাবে খুলবো
বর্তমানে আপনি যেই কাজই করেন না কেন আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট এর প্রয়োজনীয়তা নিশ্চয়ই অনুভব করেন। একটি জিমেইল একাউন্টে যে শুধুমাত্র ইমেইল এর জন্য ব্যবহার করা যায় সেটা নয়।
আপনি একটি জিমেইল একাউন্টে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট খুলতে পারবেন। ঠিক তেমনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন শপিং ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে শপিং করতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে জিমেইল আইডির প্রয়োজন হতে পারে।
বর্তমানে যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া অথবা যে কোন ওয়েব সাইটে জিমেইল আইডি ছাড়া একাউন্ট খোলা প্রায় অসম্ভব। একটি জিমেইল দিয়ে যেমনি আপনি বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। ঠিক তেমনি একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি গুগলের বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা গুলো উপভোগ করতে পারবেন।
যেমন গুগল ডু যার মাধ্যমে ভিডিও কল করা যায়, জিমেইল মেইল পাঠাতে ব্যবহার করা হয়, ড্রাইভ বিভিন্ন ফাইল সংরক্ষণ করা যায়, এমন কি জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া ও অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের দ্বারা বিভিন্ন অ্যাপস ইন্সটল করতে চাইলে আপনার কিন্তু গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ হবে।
আর গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ তো অবশ্যই আপনার একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন পড়বে। আবার আপনি যদি ইউটিউব ব্যবহার করেন তাহলে কিন্তু আপনার এই জিমেইল আইডির প্রয়োজন পড়বে। আপনি কিন্তু জিমেইল আইডি ছাড়া একদমই ইউটিউবে প্রবেশ করতে পারবেন না।
বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে জিমেইল আমাদের সবার কাছে ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আধুনিক বিশ্বে প্রায় প্রতি ১০ মানুষের মধ্যে ৭ জনের কি না জিমেইল অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন যে, কিভাবে আপনি খুব সহজেই মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসেই নতুন একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। আপনি যদি নতুন একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাহলে অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা পড়বেন।
আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটা বা পড়েন তাহলে কিন্তু নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলতে পারবেন না। আর বুঝতে ও পারবেন না যে কিভাবে আপনি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলবেন। আর যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়েন তাহলে নতুন জিমেইল খোলা আপনার কাছে ডাল ভাত মনে হবে।
জিমেইল আইডি খুলতে কি কি প্রয়োজন?
আপনি যদি নতুন একটি গুগল অ্যাকাউন্ট বা জিমেইল আইডি খুলতে চান তাহলে আপনার যা যা প্রয়োজন পড়বে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য যোগ্য হলো; একটি ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার / স্মার্টফোন, সেইসাথে প্রয়োজন হবে একটি মোবাইল নাম্বার এবং প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কানেকশন।
সহজ ভাষায় বলতে গেলে জিমেইল একাউন্ট বা গুগল আইডি খোলার জন্যে একটি স্মার্টফোন একটি মোবাইল ফোন নাম্বার এবং ইন্টারনেট থাকলেই হবে। তবেই আপনি খুব সহজেই নতুন একটি জিমেইল আইডি খুলতে পারবেন।
জিমেইল আইডি খোলার নিয়ম?
জিমেইল একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপ এর সাহায্যে গুগল ক্রোম ব্রাউজার টি ওপেন করতে হবে। গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করার পরে সেখানে গুগল একাউন্ট লিখে সার্চ করবেন।
এরপরে প্রথমে যে পেজটি আসবে সেখানে ক্লিক করে Create New Accounts এ ক্লিক করবেন। জিমেইল একাউন্ট খোলার জন্য নিউ একাউন্ট এ ক্লিক করলে আপনার সামনে একটি পেজ আসবে। এরপরে সেই পেজ এ প্রথমে আপনার ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম দিবেন। যেমন Kiyes (First Name) এবং Sorder (Last Name)।
ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট এন্ড দেয়ার পর দিবেন ইউজার নেম মানে যেই ইউজারনেম অনুসারে আপনি আপনার গুগোল অ্যাকাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন। যেমন আমি নাম দিলাম আমার ইউজারনেম Kiyes2022@gmail.com. এরপরে নেক্সট এ ক্লিক করবেন।
নেক্সট এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরও একটি নতুন পেজ আসবে। সেখানে আপনি প্রথমে আপনার Gender. যদি আপনি পুরুষ হন তাহলে দিবেন Male আর যদি আপনি মেয়ে হন তাহলে দেবেন Female. তার পরে দিবেন আপনার Date of Birth আপনি কত সালে জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই তারিখ টা Date of Birth এর জায়গায় দিবেন।
Date of Birth দেওয়ার পর আপনার ঠিকানা টা যদি পারেন দিবেন না দিলে সমস্যা নাই। এরপরে আপনার ফোন নাম্বার দিবেন। ফোন নাম্বার দিয়ে নেক্সট এ ক্লিক করলে আপনার নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট ওপেন হয়ে যাবে।
নতুন অ্যাকাউন্ট ওপেন হওয়ার পরপরই আপনি চাইলে আপনার রিকভারি ইমেইল যোগ করতে পারেন। এর পরে আপনি আপনার ফোন নাম্বারটা যোগ করে নিবেন। কেননা যদি কোন সময় আপনি আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে যান। তাহলে খুব সহজে আবার রিকভারি করার মাধ্যমে আপনার ই-মেইল এড্রেসটি ফিরে পেতে পারেন।
এরপরে চাইলে আপনি আপনার জিমেইলে নিজের ছবি দিতে পারেন। প্রোফাইল ফটো দেওয়ার পরে আপনি চাইলে যেখানে বসবাস করছেন সেই পার্মানেন্ট ঠিকানা পারেন। এখন আপনার নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এই জিমেইল একাউন্ট ব্যবহার করে আপনি এখন ফেসবুক ইউটিউব এর নতুন একাউন্ট খুলতে পারেন।
আবার গুগল প্লে স্টোর থেকে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারবেন। যদি কখনো কোনো ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে তাহলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনি খুব সহজেই নতুন একাউন্ট ওপেন করতে পারবেন।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা আমরা আজকে জানলাম যে কিভাবে জিমেইল একাউন্ট খুলবেন। অনেকেই বর্তমানে জানতে চায় যে কিভাবে জিমেইল একাউন্ট খুলব বা কিভাবে জিমেইল একাউন্ট খুলতে হয়। আবার আমাদের মধ্যে অনেকে যে প্রশ্ন টা করে থাকে সেটা হল কিভাবে গুগল একাউন্ট খুলব? বা গুগোল একাউন্ট খুলতে হয়?
আসলে জিমেইল একাউন্ট এবং গুগোল একাউন্ট দুটোই আলাদা কোন আইডি নয়। এই দুটো জিনিস একই সেটা অনেকেই বুঝতে পারে না। জিমেইল হলো গুগলের একটি পণ্য বা সার্ভিস। জিমেইল একাউন্ট খোলা মানে ই হলো গুগল একাউন্ট খোলা। কেননা এই জিমেইল একাউন্ট দিয়েই গুগলের যেকোনো সব ধরনের সার্ভিস ব্যবহার করা যায়।
তো আজকের এই আর্টিকেলে আমরা চেষ্টা করেছি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে জিমেইল একাউন্ট খুলতে হয় এবং জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম এগুলো সম্পর্কে। আশা করি আপনারা সবাই এখন নতুন জিমেইল বা গুগল আইডি খুলতে পারবেন।
তো তারপরে ও যদি আপনি জিমেইল একাউন্ট খুলতে না পারেন তাহলে আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি আপনার সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনার কোন বন্ধু বান্ধব যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে তাহলে তার সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।
আপনার শেয়ার করার মাধ্যমে যদি আপনার বন্ধুবান্ধব আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে তাহলে খুব সহজে সে নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। আর সেই সাথে এটাও জানতে পারবে যে জিমেইল একাউন্ট আর গুগল একাউন্ট দুটো একই জিনিস।
তো আজকের মতো এই পর্যন্তই ছিল দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। তখন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর হ্যাঁ নতুন কোন বিষয়ে যদি জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে উক্ত বিষয়টি আমাদেরকে জানাতে পারেন। আমরা খুব শীঘ্রই আপনার বিষয়টি নিয়ে নতুন আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করব ধন্যবাদ।