ল্যাপটপ কি? ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায়

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই! অনেক ভাল আছেন। তো আমি আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব ল্যাপটপ কি? ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় এস বিষয় নিয়ে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক ল্যাপটপ কি!

 

বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে আমাদের সবাই কমবেশি কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করে থাকি। কিন্তু যখন আপনার কাছে কম্পিউটার থাকবে না তখন আপনি কি ভাবে আপনার কাজগুলো সম্পাদন করবেন? একবার কি ভেবেছেন আর কম্পিউটার তো আপনি যেখানে সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন না।

 

কম্পিউটার তো আপনাকে একটু স্থানেই ফিটিং করে লাগানো রাখতে হবে। এই জন্যই তৈরি হয়েছিল কম্পিউটারের কপি সহজে যেখানে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ল্যাপটপ। ল্যাপটপ এর সাহায্যে কম্পিউটারের যেকোন কাজ খুব সহজে সম্পাদন করা যায়। আর ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে যেখানে সেখানে ল্যাপটপ নিয়ে আপনি যেকোনো কাজ সম্পাদন করতে পারবেন।

 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়; একটি কোম্পানির মালিক সে তার অফিসে বসে কম্পিউটারের সাহায্যে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করে থাকে। এখন সে মিটিং এর জন্য বিদেশে গেল, কিন্তু সেখানে তারা কম্পিউটার সাথে করে নিয়ে যেতে পারবে না।কেননা কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ফিটিং করা থাকে একই স্থানে। তাই অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া খুবই কষ্টকর এবং ঝামেলা মনে হয়।

 

এ কারণে সে একটি ল্যাপটপ এর সাহায্যে খুব সহজেই তার কম্পিউটার দিয়ে অফিসে বসে যে কাজগুলো করত সেই কাজগুলো সম্পাদন করতে পারবে। এতে করে তার যেমন কম্পিউটার নিয়ে যেতে হল না। ঠিক তেমনি ল্যাপটপ ব্যবহার করার সহজ হওয়ার কারণে তার কাজগুলো করা খুব সহজ হয়ে উঠলো।

 

এছাড়া আরো এরকম নানান ধরনের সুবিধার কারণে কম্পিউটারে বর্তমানে ল্যাপটপ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাছাড়া ল্যাপটপ একই স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে বলে রাখা ভালো যে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ দুটো আলাদা কোন জিনিস নয় দুটো একই জিনিস।

 

তবে কম্পিউটার ও ল্যাপটপ দুটো ই হলো ডিভাইস অথবা দুটো যন্ত্র একই কাজ করতে পারলে ও দুটোর মধ্যে কিছুটা তফাৎ রয়েছে। আর এই তোমার টি হলো কম্পিউটার পোর্টেবল ডিভাইস নয় ও রিচার্জেবল ডিভাইস নয় কিন্তু এক্ষেত্রে ল্যাপটপ পোর্টেবল ডিভাইস এর সাথে রিচার্জেবল ডিভাইস।

 

কম্পিউটার আপনি সবসময় কারেন্টের সাহায্যে চালাতে পারবেন। যদি কারেন্ট চলে যায় তাহলে আপনি আর কম্পিউটার চালাতে পারবেন না। আর অন্যদিকে ল্যাপটপ আপনি চার্জে দিয়ে চালাতে পারবেন এবং আপনি চার্জ ছাড়া চালাতে পারবেন। কেননা ল্যাপটপ হলো রিচার্জেবল ডিভাইস যা একবার চার্জ করলে আপনি অনেকক্ষণ পর্যন্ত ব্যাটারি ব্যাকআপ এর সাহায্যে খুব সহজেই কারণ ছাড়াই কাজ করতে পারবেন।

 

এছাড়াও আপনি ল্যাপটপ একবার চার্জ করে নিয়ে যেখানে খুশি সেখানে নিয়ে গিয়ে যেকোনো কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। যতক্ষন না আপনার ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি এই স্মার্টফোনের মতোই ল্যাপটপ টা ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। আর বর্তমানে কম্পিউটার জগতে ল্যাপটপ কে নোটবুক বলা হয়ে থাকে কেননা ল্যাপটপ হলো একটি পোর্টেবল রিচার্জেবল কম্পিউটার।

 

ল্যাপটপ হলো কম্পিউটারের একটি কপি যা যেখানে সেখানে নিয়ে যেকোন পরিবেশের সাথে ব্যবহার করা যায়। প্রতিটা ল্যাপটপে একটি করে পাওয়ার অ্যাডাপ্টার থাকে। সেই পাওয়ার এডাপ্টার থেকে এসি আউটলেট শক্তি ব্যবহার করে ব্যাটারিতে চার্জ গ্রহণ করে থাকে।

 

পরবর্তীতে এখান থেকে ব্যাটারির চার্জ হিসোবে কারেন্ট নিয়ে ল্যাপটপ সরাসরি বিৎদ্যুত সংযোগ ছাড়াই ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও ল্যাপটপে সব সময় স্ক্রীন, কিবোর্ড, টাচপ্যাড সবগুলো এডজাস্ট করা থাকে। ল্যাপটপে একটা টাচপ্যাড থাকে যেটা তারবিহীন মাউস হিসেবে কাজ করে।

 

 

 

ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায়?

 

কম্পিউটার দিয়ে আপনি যেমন সব ধরনের কাজ করতে পারেন। ঠিক তেমনি ল্যাপটপ দিয়ে ও আপনি সব ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে ল্যাপটপের কনফিগারেশন এবং কম্পিউটারের কনফিগারেশন একই রাখতে হবে।

 

আপনি একটি কম্পিউটারের কনফিগারেশন দিয়ে যে সব কাজ গুলো সম্পাদন করতে পারবেন। ওই একই কনফিগারেশন এর একটি ল্যাপটপ দিয়ে ও আপনি একই কাজ গুলো সম্পাদন করতে পারবেন। তা না হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ল্যাপটপের পারফরমেন্সের সাথে কম্পিউটারের কাজের পারফরমেন্স মিলবে না।

 

কেননা কম্পিউটারে সব সময় একটু বেশি গতিতে কাজ সম্পাদন করতে পারে। এক্ষেত্রে ল্যাপটপ একটু ধীর গতিতে কাজ সম্পাদন করে। কিন্তু আপনি যদি হাই লেভেলের হাই কোয়ালিটির কনফিগারেশনের ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাহলে এক্ষেত্রে ধীর গতির কাজ বা বেশি গতির কাজ করার এসব সমস্যা গুলো হবে না।

 

 

কি কি ক্ষেত্রে ল্যাপটপ ব্যবহার করা যেতে পারে?

 

ইন্টারনেট জগতের সব ধরনের কাজ বর্তমানে ল্যাপটপের সাহায্য করা যায়। যেমন ইউটিউব চ্যানেল এর কাজ, ফেসবুকের কাজ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও সীট এর কাজ, টাইপ রাইটারের কাজ, অফিস-আদালতের বিভিন্ন ধরনের কাজ যেগুলো বহনযোগ্য সেগুলি ল্যাপটপ এর সাহায্যে খুব সহজেই করা যায়।

 

সময়ে কম্পিউটারের দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে অনলাইনে যত কাজ সম্পাদন করা যায়। তার সব কাজেই আপনি ল্যাপটপ এর সাহায্যে খুব সহজেই করতে পারবেন। এই যেমন আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, গেম ডেভলপ, ভার্চুয়াল মিডিয়া, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি এসব কাজগুলো খুব সহজে আপনি কম্পিউটার ছাড়াই ল্যাপটপ দিয়ে করতে পারবেন।

 

এছাড়া আরও হাজার ধরনের কাজ রয়েছে যেগুলো ল্যাপটপ এর সাহায্যে খুব সহজেই করা যায়। যেমন বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক কাজ, বায়ু আবহাওয়া পূর্বাভাস পর্যবেক্ষণ মত কাজ, ট্রান্সপোর্ট ডিরেকশন নির্ণয় এর কাজ, যেকোনো ব্যাংকিং এর কাজ, শেয়ার বাজারের কাজ, ইন্সুরেন্স এর কাজ সহ এরকম আরো অনেক ধরনের কাজ খুব সহজে ল্যাপটপ এর সাহায্যে করা যায়।

 

এছাড়া আরও হাজার হাজার কাজ রয়েছে যেসব কাজগুলো আপনি কম্পিউটার ছাড়া ল্যাপটপ দিয়ে সম্পাদন করতে পারবেন। আর ল্যাপটপে কাজ করা সবচেয়ে সেরা সুবিধা হল যে কোন সময় যদি বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। তাহলে ল্যাপটপে বিদ্যুৎ ছাড়াই ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ব্যাকআপ ব্যাটারি থাকে সেটার সাহায্যে কাজ করা যায়।

 

 

শেষ কথা

 

বর্তমান সময়ে আমাদের বিভিন্ন কাজ শর্টকাটে করার জন্য ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেননা যেখানে সেখানে যত্রতত্র সময়ে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করা গেলেও কম্পিউটার নিয়ে কাজ করা যায় না। তো আজকে আমরা জানতে পারলাম ল্যাপটপ কি ওই অ্যাপটা দিয়ে যেসব কাজগুলো খুব সহজে করা যায়।

 

কম্পিউটার আমরা সাধারণত এক স্থানে রেখেই ব্যবহার করে থাকি। আর কম্পিউটারে আমরা যেসব কাজগুলো করি সেই সব কাজ গুলো ল্যাপটপ এর সাহায্যে খুব সহজেই করতে পারি। কম্পিউটারের কাজ যেমন একই স্থানে বসিয়ে করতে হয় কিন্তু এক্ষেত্রে ল্যাপটপের মাধ্যমে আমরা সেসব কাজগুলো যেকোনো জায়গায় যেকোনো পরিবেশে খুব সহজেই করতে পারি।

 

তো এখন তো আপনারাও জানতে পারলেন ল্যাপটপ কি এবং ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় এই দুইটি বিষয় সম্পর্কে। আপনার কোন বন্ধু বান্ধব বা আত্মীয় স্বজন ল্যাপটপ কি ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় এই সম্পর্কে জেনে না থাকে। তাহলে তাদের সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন।

 

এর মাধ্যমে আপনার বন্ধু বান্ধব অথবা আত্মীয় স্বজনেরা খুব সহজেই জানতে পারবে যে ল্যাপটপ কি বা ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায়। আজকের মত এ পর্যন্তই ছিল দেখা হবে আবার নতুন কোন বিষয় নিয়ে নতুন কোন আর্টিকেলে।

 

আর হ্যাঁ আপনি যেকোন বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই বিষয়টি লিখে আমাদের কমেন্ট করতে পারেন। আমরা খুব শীঘ্রই আপনার বিষয়টি নিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করার চেষ্টা করব। তো ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।

 

Updated: April 5, 2022 — 7:08 pm