পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে – যেভাবে প্রেগন্যান্ট টেষ্ট করবেন

প্রতিটা মায়েরই নতুন সন্তানের আগমনের ব্যাপারে গর্ভধারণ জিনিসটা খুবই আনন্দদায়ক একটি বিষয়।

গর্ভবতী মায়ের দেহের ভেতর পরিবারের নতুন আরো একটি ছোট্ট সদস্যরা আগমন ঘটছে। মায়ের সাথে সেই ছোট্ট পরিবারের সদস্য টি দিন দিন বেড়ে উঠছে।

তবে অনেক সময় গর্ভবতী মায়েরা জানে না যে তারা গর্ভবতী কিনা। তারা কনফিউশনে থাকে যে তারা গর্ভবতী হয়েছে নাকি এখনো গর্ভবতী হয়নি। 

তো বাসায় বসেই আপনি এই চিন্তা দূর করতে পারবেন। যদি আপনি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই আপনি ঘরে বসে অথবা ক্লিনিক এর সাহায্যে গর্ভবতী টেস্ট করতে পারবেন।

তবে অনেক সময় ভুল কোন কারণে ক্লিনিকে গিয়ে টাকা খরচ করার কোন প্রয়োজনই পড়ে না। প্রথমে চাইলে ঘরে বসেই প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজে গর্ভবতী টেস্ট করা যায়।

এছাড়াও প্রতিটি নারীর গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস খুবই সতর্কতার সাথে থাকতে হয়। কেননা এ সময় গর্ভবতী মা ও বাচ্চা দুজনেরই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কারণ বলা যায় না কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়।

তো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে গর্ভধারণের পরীক্ষা করবেন বা পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে। 

এছাড়াও আপনাকে জানানোর চেষ্টা করবো ঘরে বসে কিভাবে পদ্ধতি অনুসরণ করে গর্ভধারণ এর পরীক্ষা করবেন। 

কেননা বর্তমানে বেশিরভাগ নতুন মায়েরা গান নতুন গর্ভবতী নারীরা অনেকে পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে জানে না। 

বর্তমানে দুইটি পদ্ধতিতে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন একটি হলো ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করতে পারবেন এবং অন্যটি হলো ক্লিনিকে অথবা হাসপাতালে গিয়ে প্রেগনেন্ট টেস্ট করতে পারবেন।

তবে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদেরকে দুটি পদ্ধতি তে কিভাবে প্রেগনেন্ট টেস্ট করা যায় এই বিষয়ে সম্পর্কে জানাতে চলেছি। তো চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে প্রেগনেন্ট টেস্ট করা যায়।

গর্ভধারণের পরীক্ষা কখন করবেন

যখন দেখবেন ঋতুস্রাবের পর ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ সময় তখনই গর্ভধারণের পরীক্ষা করতে পারবেন। কেননা এই সময়টায সবচেয়ে সঠিক সময় যেটা সময়ে গর্ভধারণের পরীক্ষা করতে হয়।

কেননা সঙ্গমের পর শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু একসাথে মিলিত হয়ে নারীদের নিষিক্ত ডিমের জরায়ু তে  প্রবেশ করে। জরায়ুতে প্রবেশ করার পরে নারীদের দেহে এইচসিজি হরমোন গঠন শুরু হয়ে যায়। 

আর এই হরমোন টি নারীদের জরায়ুতে প্রায় ১ সপ্তাহ থেকে ২ সপ্তাহ পরে যেকোনো গর্ভবতী মহিলা যদি সে গর্ভবতী হয় তাহলে তার প্রসাবে উপস্থিত থাকে।

এছাড়াও খেয়াল রাখবেন যে আপনার সর্বশেষ ঋতুস্রাব কখন হয়েছিল আর কখন থেকে ঋতুস্রাব হয় না। যখনই আপনি দেখবেন যে আপনার ঋতুস্রাব ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ ধরে হচ্ছে না এবং আপনার সঙ্গমের পরে এইচসিজি হরমোন টি আপনার নিষিক্ত ডিমের জরায়ুতে উপস্থিত। 

তখন ই আপনার জরায়ুতে এইচসিজি এর উপস্থিতি থাকবে যখন আপনি মিলন করবেন। যদি ২ সপ্তাহ থেকে ৩ সপ্তাহ আগে সঙ্গম করে থাকেন আর ১ সপ্তাহ থেকে ২ সপ্তাহ থেকে আপনার ঋতুস্রাব বন্ধ তবে আপনি পেগনেন্ট টেস্ট করতে পারেন। 

যদি প্রেগন্যান্ট হন তাহলে আপনি প্রসব করলে সেই প্রসাবের সাথে এইচসিজি হরমোন টি উপস্থিত থাকবে। আর এই সময়ে আপনি চাইলে পেগনেন্ট টেস্ট করতে পারবেন। 

 

কীট দিয়ে পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ নারীরা তাদের পেগনেন্ট পরীক্ষা করার জন্য বাজারে ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেগনেন্সি কিট এর দ্বারা পরীক্ষা করে থাকে। 

এছাড়াও বিভিন্ন সাধারণত কর্মসূচি দিয়ে থাকে যেমন টাকা কম খরচে ঠিক তেমনি গর্ভবতী হয়েছে কি হয়নি সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়। 

তবে মাঝে মাঝে কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কম দামি কীটগুলো ভুল উত্তর দিয়ে থাকে। এ কারণে সবসময় চেষ্টা করবেন দামি বা ভালো কিট এর সাহায্যে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার। 

বাজারে থাকা বিভিন্ন ধরনের কীটে বিভিন্ন উপায়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যায়। আপনি যদি ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেগনেন্সি কিট কিনেন তাহলে সে আপনাকে বলে দেবে পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করে বা কিভাবে প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করবেন। 

এছাড়াও আপনি যদি অজান্তেই কোন দোকান থেকে প্রেগনেন্সি কিট কিনেন তাহলে অবশ্যই পেটের ভিতরে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা করবেন তাহলে দেখবেন সঠিক ফলাফল টি আসবে।

তো বাজারে সাধারণত দুই প্রকারের কি পাওয়া যায়। একটা কিট এর ভিতর আপনি প্রসব করে কিট এর অর্ধেক ভিজিয়ে রাখবেন। কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর এক দাগ ওঠবে তার মানে আপনি প্রেগনেন্ট না এখন আর দুই দাগ হলো আপনি প্রেগন্যান্ট। 

তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেটে আলাদা আলাদা ও দাগের নিয়ম হতে পারে। বাজারে আরো এক ধরনের কি রয়েছে সেই কিট এর ভিতর আপনি দুই থেকে তিন ফোটা ইউরিন বা প্রস্তাব দেবেন। 

এরপর সেখানে লাল অথবা সবুজ যে কোন একটি চিহ্ন ভেসে উঠবে। লাল চিহ্ন যদি ভেসে ওঠে তাহলে আপনি প্রেগনেন্ট না আর যদি নীল চিহ্ন ভেসে ওঠে তাহলে আপনি প্রেগনেন্ট। এভাবে আপনি বাজার থেকে অথবা ডাক্তারের কাছ থেকে কি এর সাহায্যে আপনার প্রেগনেন্ট কিনা এটা পরীক্ষা করতে পারবেন।

আলট্রাসোনোগ্রাফির মাধ্যমে পেগনেন্ট টেস্ট 

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেগনেন্ট টেস্ট এর মাধ্যম হলো আলট্রাসনোগ্রাফি। এখন ডিজিটাল যুগে বেশিরভাগ মানুষ ই তাদের পরিবারের কেউ গর্ভবতী যদি হয় অথবা যেকোনো মহিলা গর্ভবতী হয় তাহলে তাকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে বেশিরভাগ সময় টেস্ট করা হয়ে থাকে।

আলট্রাসনোগ্রাফি পদ্ধতিতে উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি শব্দতরঙ্গ গুলি গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা শিশুর কাছে পাঠানো হয় যেটা কম্পিউটারের স্ক্রিনে ছবি হিসেবে দেখা যায়। 

আলট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষার সময়ে শব্দতরঙ্গ গুলো কাজ করে না। কেননা মায়ের পেটের ভিতরে থাকা শিশু যে তরলের ভিতরে অবস্থান করে তাকে অ্যামনিয়োটিক তরল বলা হয়।

তো এই ধরণের ভিতরে থাকা ছবিগুলো কালো রঙে কম্পিউটারের স্ক্রিনে ভেসে উঠে।

আর অন্যদিকে ছোট্ট শিশুর টিস্যুগুলো সাদা রং এবং নরম ধুসর টিস্যু হিসেবে দেখা যায়।

আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে অ্যামনিওটিক তরলের কালো রং শিশুর হাড়ের সাদা টিস্যু  এবং নরম টিস্যু গুলো ধূসর রঙের দেখা গেলে এর উপর নির্ভর করে গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা সন্তানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়।

এভাবেই বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের প্রেগন্যান্ট কিনা তা চেক করা হয়ে থাকে।

গর্ভবতী প্রতিটা নারীর ই গর্ভধারণের পর বিভিন্ন টেস্ট করা অতি জরুরী। কেননা এসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে তার নঅনাগত বাচ্চাটির বর্তমান অবস্থা কেমন আছে। 

সে কি সঠিকভাবে পুষ্টি পেয়ে বড় হচ্ছে নাকি ভিটামিন পুষ্টির অভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।

তো বিভিন্ন পরীক্ষা করলে জানা যায় যে তার অনাগত বাচ্চা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য। তাই সবারই কম-বেশি গর্ভধারণের পর অবশ্যই বিভিন্ন টেস্ট করা খুবই উপকারী। 

এছাড়া গর্ভধারণের পর যেকোন সমস্যার যদি সম্মুখীন হয়ে যান তাহলে খুব শীঘ্রই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

কেননা ডাক্তার আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবে। সব সময় যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে করা পেগনেন্ট টেস্ট করার এতে করে আপনি ও আপনার অনাগত বাচ্চা দুজনেই সুস্থ থাকবে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক নারীই প্রেগন্যান্ট হয়েও সে জানতে পারে না যে সে বর্তমানে প্রেগন্যান্ট আছে কিনা।

তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা এসব বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করা যায়? পেগনেন্ট টেস্ট কিভাবে করবেন? প্রেগনেন্ট টেস্ট কখন করবেন?

এসব বিষয়গুলো নিয়ে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন। এর পরও যদি কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো 

আর হ্যাঁ আপনার কোন বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেউ যদি গর্ভবতী হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তার সাথে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। 

এতে করে বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের কেউ গর্ভবতী থাকলে যখন এই আর্টিকেল টি পড়বে তখন নতুন প্রেগনেন্ট টেষ্ট সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা পাবে। এতে তার জন্য খুবই উপকার হবে। 

তো দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষণে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। 

Updated: April 3, 2022 — 12:04 pm