ওজন বাড়বে কিভাবে? ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট দেখুন

আমাদের মধ্যে যারা একটু শুকনো বা চিকন থাকে তারা কিন্তু সবসময় একটু মোটাসোটা হতে যায়। কারণ অনেক সময় দেখা যায় তারা বিভিন্ন জায়গায় চলাফেরা করতে গিয়ে শুধু মাত্র শুক্রবা চিকন হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময়ে যেখানে সেখানে হাসির পাত্র হয়।

মানুষের যেমন অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া খারাপ একটা বিষয় ঠিক। তেমনি মানুষের একেবারে শুকনো বা চিকন হয়ে যাওয়া ও একটি খারাপ বিষয়। শুকনো বা চিকন হয়ে যাওয়ায় সামাজিকভাবে বিভিন্ন ভাবে চিকন মানুষ গুলোকে সবাই হাসির খোরাক বানায় ও বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়।

ঠিক তেমনি চিকন মানুষটার কাছেই নিজের কাছেও খারাপ লাগে যে সে শুকনো বা চিকন।  মানুষ সাধারণত সঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া না করলে শুকনো বা চিকন হয়ে যায়।এখন যদি নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করা যায় তাহলে চিকন বা শুকনো থেকে অবশ্যই সে তার নিজের একটি সুস্থ শরীর ফিরে পাবে। শুকিয়ে যাওয়া বা চিকন হওয়া মানে এই নয় যে এটা তার শরীরের কোন স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। চিকন হওয়া মানে হলো এই যে, তার শরীর বিভিন্ন পুষ্টির অভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। আর এই সময় তার শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বেধে বসে আছে। তার শরীর সঠিকভাবে সব ধরনের পুষ্টি ভিটামিন ক্যালসিয়াম গ্রহন করতে পারছে না।

যে কারণে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিক ভাবে কোন ধরনের ভিটামিন পাচ্ছে না। তাই তার শরীর গ্রোথ হচ্ছে না আর সে তাই দিন দিন মোটা হওয়ার বদলে শুকিয়ে চিকন হয়ে যাচ্ছে।  এছাড়াও বিভিন্ন রোগব্যাধি এই সময়ে শরীরে বাসা বাদে যা পরবর্তীতে বিশাল আকার ধারণ করে। তো মোটা মানে একেবারে মোটা সেটা নয় মোটামুটি স্বাস্থ্যবান এবং সঠিক একটি শরীর আপনি যদি চিকন অথবা শুকনো হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

তাহলে আপনি খুব সহজেই শুকনো বা চিকন থেকে মোটা হতে পারবেন। আপনি কিন্তু ডায়েট চার্ট ছাড়া কোন নিয়ম নীতি ছাড়াই যা তা খাবার খান না কেন সেই খাবার আপনার গায়ে লাগবে না। তো চিকন বা শুকনো রোগা পাতলা শরীর থেকে আপনি যদি মোটা বা স্বাস্থ্যবান হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডায়েট চার্ট অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। একমাত্র ডায়েট চার্ট মেনে খাবার গ্রহণ করলে আপনি মোটা না স্বাস্থবান হতে পারবেন।

তো আজকের চলুন জেনে নেয়া যাক চিকন বা শুকনো রোগা পাতলা শরীর টাকে মোটা বানাতে আপনার স্বাস্থবান হওয়ার ডায়েট চার্ট কেমন হতে পারে বা কেমন হওয়া উচিত।

নিচে আমরা যারা শুকনো বা চিকন তাদের জন্য ডায়েট চার্ট তৈরি করেছি। এই ডায়েট চার্ট এর মাধ্যমে আমরা দেখিয়েছি কি কি খাবার আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। আমরা এখানে সেই সব খাবার গুলোর কথা উল্লেখ করেছি যেসব খাবারগুলো খেলে আপনি স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। তো চলুন শুরু করা যাক।

ওজন বাড়বে কিভাবে?

প্রতিদিন চার বেলা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করবেন ব্যায়াম ও খেলাধুলা করার। আর মোটা হওয়ার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি করে খাবেন।

যেমন বিভিন্ন ধরনের কেক জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। এছাড়াও এসব জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি সবসময় বেশি বেশি আলু খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে আর যদি আপনি শুধু তিনবেলা আলু চিপস খান তাহলে তো আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাবেন।

নিচে ওজন বৃদ্ধির ডায়েট চার্ট দেখুন

সকাল বেলার খাবার

সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হালকা এক কাপ চা খেতে পারেন যাতে শরীর চাঙ্গা হয়। এরপর একটু ব্যায়াম করতে পারেন।

ব্যায়াম করার পরে আপনি চাইলে পরোটা অথবা খিচুড়ি যা কিছু খেতে পারেন।

আর হ্যাঁ অবশ্যই প্রতিদিন সকালবেলা ১ গ্লাস দুধ খাওয়ার কথা ভুলে যাবেন না। যদি পারেন এক গ্লাস করে দুধ খাবেন সেই সাথে পাশাপাশি পাউরুটি ও বাটার অথবা আটার রুটি ও সবজি ভাজি খেতে পারেন। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন রুটির সাথে ডিমের অমলেট অথবা ডিম সিদ্ধ করে খাবেন। অবশ্যই এইসব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি যদি পারেন সকালে তাজা কিছু ফলমূল খেতে পারেন।

দুপুর বেলার খাবার

প্রতিদিন দুপুর বেলা সময় করে ভাত, ডাল, শাক সবজি, তরকারী, মাছ অথবা মাংস গ্রহণ করতে পারে।

তবে হ্যাঁ একটা জিনিস সবসময় খেয়াল রাখবেন কোনকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। তাই সবকিছু যথেষ্ট পরিমাণে গ্রহণ করবেন। আর যদি পারেন সপ্তাহে তিন দিন মাংস খাবেন আর বাকি চারদিন মাছ খাবেন।

আর হ্যাঁ মাছ মাংসের পাশাপাশি শাকসবজি খেতে একদমই ভোলা যাবে না। মাছ মাংস খেলে ও তার তার পাশাপাশি অবশ্যই শাকসবজি রাখবেন। আর যদি পারেন দুপুরে খাওয়া শেষ করে দুই অথবা দুধ জাতীয় ঠান্ন্ঠা কিছু খেতে পারেন।

বিকাল বেলার খাবার

প্রতিদিন বিকেলবেলা চাইলে যেকোন স্ন্যাক জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও যদি পারেন বাদাম, আখরোট অথবা বাদাম জাতীয় খাবার যেকোনো খাবার বিকেল বেলার সময়টাতে খেতে পারে। তবে হ্যাঁ বিকেলবেলা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই খেলাধুলা করতে পারেন। কেননা শরীর ঠিক রাখার জন্য খেলাধুলা করা ও প্রয়োজন আছে।

রাত এর খাবার

রোগা পটকা শরীরটাকে একটু যদি স্বাস্থ্যকর বানাতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে রাতের খাবারের রুটিনে ভাত, রুটি পারাটা, শাক সবজি এবং চাইলে চিকেন সুপ খেতে পারেন।

আর হ্যাঁ রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ননীযুক্ত অথবা ননী ছাড়া এক গ্লাস হালকা গরম দুধ চিনি ছাড়া খেতে পারেন। সেই সাথে পারলে যেকোনো ফলের জুস ও খেতে পারেন। ডায়েট চার্ট অনুযায়ী এইসব খাবারে যদি আপনার শারীরিক পরিবর্তন না ঘটে তাহলে অবশ্যই খুব শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

যে কোন সমস্যা শুরু হওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করবেন। কেননা এই ডায়েট চার্ট হলো শুধুমাত্র সাধারন মানুষদের জন্য যারা শুকনো বা চিকন থেকে যে খাবার গ্রহণ করে মোটা হতে পারবে। কিন্তু অনেক সময় অনেকের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক দুর্বলতা থাকতে পারে। আর এসব শারীরিক দুর্বলতা থাকার কারণে আপনি কিন্তু মোটা হতে পারবেন না।

আর এ জন্য আপনাকে অবশ্যই আগে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য চার্ট মেনে চলতে হবে। যদিও ডাক্তার ও আপনাকে এই খাবারের চার্ট ই দিবে। আপনার মাঝে যদি না কোন সমস্যা থাকে।

শেষ কথা

বর্তমানে সবাই চায় একটু রোগা পটকা শরীরটাকে স্বাস্থবান করে গড়ে তুলতে। স্বাস্থ্যবান শরীর মানে এই নয় যে শুধুমাত্র রোগা পটকা শরীরটাকেই মোটাসোটা বানানো।

স্বাস্থবান মানেই হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাথে শরীরের বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এর পুষ্টি চাহিদা থাকে সেগুলো পূরণ হয়। এর পাশাপাশি একটি মানুষ তার জীবনের স্বচ্ছন্দ বোধ করে তার চলাফেরা করতে সমস্যা হয় না এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও সামাজিক কত কথা শুনতে হয় না।

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা মোটা হওয়ার জন্য খাবারের ডায়েট চার্ট প্রকাশ করেছি। সে অনুযায়ী যদি আপনি নিয়মিত এই খাবারগুলো গ্রহণ করেন তাহলে আপনি খুব শীঘ্রই শুকনো বা চিকন থেকে মোটা বা স্বাস্থ্যবান হয়ে উঠতে পারবেন।

তবে অবশ্যই আপনাকে খুব যত্নসহকারে প্রত্যেকটা দিনের খাবার সঠিক টাইমে খেতে হবে। আপনি ডায়েট চার্টের খাবার অনুযায়ী খাবার গ্রহণ না করেন তাহলে কিন্তু আপনি কখনোই মোটা ও স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন না। স্বাস্থ্যবান হতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে।

আজকের এই পোস্ট থেকে মোটা হওয়ার ডায়েট চার্ট সম্পর্কে যদি কারো কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ডায়েট চার্ট সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদেরকে বলতে পারেন। আমরা আবার নতুন কিছু তথ্য যোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করবো। তো আজকের মতো এই পর্যন্তই ছিল দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে ধন্যবাদ সবাইকে।