কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি ? হার্ডওয়্যার কত প্রকারের ও কি কি

হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন, সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছে। আজকেই আপনার সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কী এবং কম্পিউটার এর হার্ডওয়ার কত প্রকার এসব বিষয়গুলো নিয়ে।

যদি আপনি জানতে চান যে কম্পিউটার হার্ডওয়ার কি তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমাদের এই আর্টিকেলটা পুরোটা পড়বেন। না হলে কিন্তু আপনি বুঝতে পারবেন না যে কম্পিউটার হার্ডওয়ার কি! তো চলুন জেনে নেয়া যাক।

 

 

কম্পিউটার ও হার্ডওয়্যার

 

কম্পিউটার হার্ডওয়ার একটার সাথে আরেকটা পুরোপুরি ভাবে জড়িত। একটা ছাড়া অন্যটা যেমন অচল ঠিক তেমনি আরেকটা ছাড়া অন্যটি অচল। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি আমাদের কাছে কম্পিউটার এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশের নাম জানা খুবই সহজ।

যেখানে আমরা দেখতে পাই যে কম্পিউটারের একটি অংশ না থাকলে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা হার্ডওয়ার কি বা হার্ডওয়ার কি কি কাজে লাগে এবং হার্ডওয়ার কাকে বলা হয় এসব বিষয়গুলো জানেন না।

তো যারা জানেন তাদের কে জানাই ধন্যবাদ। আর যারা জানেন না তাদেরকে বলব আপনারা অবশ্যই আমাদের পুরো পোস্টটি ভাল করে পরবেন। তাহলে খুব সহজেই বুঝে যেতে পারবেন যে হার্ডওয়ার কী। আর যদি পুরো পোস্ট টা ভালো ভাবে না পড়েন, তাহলে কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারবেন না যে, কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কী এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কত প্রকারের হয়ে থাকে।

কম্পিউটারের দুটি আলাদা আলাদা পার্ট থাকে। একটা হলো হার্ডওয়্যার অন্যটি হলো সফটওয়্যার। কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গুলো বদলানো অদল-বদল করাটা খুবই কঠিন বা কষ্টকর।যেটাকে ইংলিশে হার্ড (HARD) বলা হয় এ থেকে হার্ড ওয়ার (HARD + WARE) শব্দটি এসেছে আবার অন্যদিকে সফটওয়্যার মানে সফট(Soft) এর বাংলা হল নরম।

যেগুলো বদলানো যায় বা আপডেট করা অনেক সহজ একটা ব্যাপার এ জন্য এটাকে বলা হয়ে থাকে সফটওয়্যার। সফটওয়্যার হল কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম। যেগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে হার্ডওয়ার হল প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার এর কাজ করার কিছু যন্ত্রাংশ। যেগুলোর সাহায্য ছাড়া কম্পিউটার প্রায় অচল।

এখন তো আপনারা জানতে পারলেন যে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার কি। তো এখন সংক্ষেপে সফটওয়্যার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

সফটওয়্যার কাকে বলে?

প্রতিনিয়ত আমরা কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি। যাকে আবার কম্পিউটার প্রোগ্রাম বলা হয়। প্রোগ্রাম বা সফটওয়ারের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন অফালইনে প্রয়োজনীয় কাজের জন্য করে থাকি। আর কম্পিউটারের প্রতিটা প্রোগ্রামকে বলা হয় সফটওয়্যার।

এখন বলতে পারেন কি সফটওয়্যার? সফটওয়্যার হলো হলো কম্পিউটার বিভিন্ন কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা প্রোগ্রাম যে প্রোগ্রাম গুলো আলাদা আলাদা কাজে ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমরা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও মুভি দেখার জন্য ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করি। এই ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করার জন্য একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার।

আবার আমরা ফটো দেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফটো সফটওয়্যার ব্যবহার করি। অডিও গান শোনার জন্য বিভিন্ন ধরনের অডিও প্লেয়ার ব্যবহার করি। আর এই সব প্রোগ্রাম গুলো কে মূলত সফটওয়্যার বলা হয়।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কী?

সফটওয়্যার কি সফটওয়্যার কাকে বলে এসব তো জানা হল। এখন হয়তো ভাবছেন যে হার্ডওয়ার্ক কি বা কম্পিউটারের হার্ড ওয়ার্ক এর কাজ কি। হার্ডওয়ার্ক এর সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটারের আলাদা আলাদা বিভিন্ন পার্টস বা টুলস রয়েছে যার সাহায্যে কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়।

যেমন মাউস একটি হার্ডওয়ার যার সাহায্যে কম্পিউটার পরিচালনা করা হয়, কিবোর্ড একটি হার্ডওয়ার যার সাহায্যে টাইপিং করা হয়। মনিটর যার মাধ্যমে পুরো কম্পিউটার স্ক্রিন সামনে আসে। হার্ডডিক্স সারমা ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার আপনি সংরক্ষণ করে রাখবেন। এগুলো কে মূলত হার্ডওয়ার বলা হয়।

আপনি জানলে অবাক হবেন যে হার্ডওয়ার এর ব্যবহার ছাড়া কিন্তু কম্পিউটারে প্রকার অচল। আপনি যদি বিভিন্ন সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম গুলো কম্পিউটারের ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে হার্ডওয়্যার এর সাহায্য নিতে হবে। হার্ডওয়ার ছাড়া আপনি কখনোই কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন না।

উদাহরণ স্বরূপ বলা চলে আপনি একটি ভিডিও প্লেয়ার ওপেন করবেন। এখন এই ভিডিও প্লেয়ার টা ওপেন করার জন্য আপনার প্রয়োজন মাউস যার সাহায্যে আপনি ভিডিও প্লেয়ার নামক সফটওয়্যারটি তে প্রবেশ করবেন। তো এখন আপনার মাউস পয়েন্টার না থাকে তাহলে কিভাবে আপনি ভিডিও প্লেয়ার টা ওপেন করবেন।

আবার ধরেন যে, আপনি কিছু একটা লিখতে চাইছেন। এখন এই লেখালেখি করার জন্য আপনার প্রয়োজন কিবোর্ডের। যে কিবোর্ড দিয়ে আপনি লেখালেখি করবেন। এখন আপনার কাছে যদি কিবোর্ড না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে লিখবেন।

ধরেন, আপনি আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার রান করাবেন। এখন আপনি যে রান করাবেন এই সফটওয়্যার গুলো কোথায় রাখবেন! অবশ্যই তো আপনার স্পেস এর প্রয়োজন রয়েছে এগুলো রাখার জন্য। এখন আপনার কম্পিউটারে যদি একটি হার্ডডিস্ক না থাকে, তাহলে কিন্তু আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রোগ্রাম রাখতে পারবেন না।

যদি আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করে রাখতে চান, তাহলে অবশ্যই বা এজন্য হার্ডডিক্স এর প্রয়োজন রয়েছে। এই কারণে কম্পিউটারে হার্ডওয়্যারের এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর না আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার না থাকলে আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন না। এখন হার্ডওয়ার হতে পারে সিপিইউ মনিটর, মাদারবোর্ড, সাউন্ড সিস্টেম, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি। এগুলো প্রত্যেকটা কিন্তু কম্পিউটারের একেকটা হার্ডওয়ার।

 

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কাকে বলে ?

 

কম্পিউটারের এমন একটি অংশ হলো হার্ডওয়ার যেটা আমরা দেখতে পারি এবং সরাসরি ব্যবহার করতে পারি। তো হার্ডওয়ার হলো কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। যেগুলো সাহায্য ছাড়া কম্পিউটার একেবারেই অচল। এখন হার্ডওয়ার হতে পারে কম্পিউটারের মাউস, কিবোর্ড, মনিটর, সিপিইউ, গ্রাফিক্স কার্ড, হার্ডডিক্স, সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি।

এগুলো ছাড়া কিন্তু কম্পিউটার একেবারে প্রায় অচল বলা চলে। এগুলো ছাড়া আপনি কখনোই সফটওয়্যার এর প্রোগ্রাম এর কোন কাজ করতে পারবেন না। অবশ্যই আপনাকে জন্য কম্পিউটারের হার্ডওয়ার এর প্রয়োজন রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ ধরুন, আপনার কাছে একটি মনিটর নেই এখন আপনি চাচ্ছেন কম্পিউটারের সফটওয়্যার প্রোগ্রাম রান করাতে। এখন আপনার কাছে যদি মনিটর না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে সফটওয়্যার রান করাবেন!

আবার ধরুন, আপনার লেখালেখির করার জন্য কিছু কাজ করা প্রয়োজন। কিন্তু এখন আপনার কাছে কোন কিবোর্ড নেই এখন আপনি কিভাবে লিখবেন। আবার আপনি বিভিন্ন ভিডিও গান শোনার জন্য সফটওয়্যার অপেন করার প্রয়োজন। এখন আপনারা যদি মাউস পয়েন্ট না থাকে তাহলে কিন্তু আপনি কিছু করতে পারবেন না।

এবার ধরুন আপনার কাছে কতগুলো পিকচার বা ফটো রয়েছে। এখন আপনি চাচ্ছেন এইগুলো আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করার জন্যে, এখন আপনার কম্পিউটারে এগুলো সংরক্ষন করবেন কিভাবে! যদি আপনার কম্পিউটারে কোন হার্ডডিক্স না থাকে। হার্ডডিক্স ছাড়া কিন্তু আপনি এগুলো কোথাও সংরক্ষণ করতে পারবে না। এ কারণে সব সময় বলা হয়ে থাকে যে হার্ডওয়ার ছাড়া কম্পিউটার একেবারে অচল।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের প্রকার কতটি ও কি কি ?

 

কম্পিউটারের হার্ডওয়ার এর কোন প্রকার নেই। কেননা কম্পিউটারে অনেক ধরনের হার্ডওয়ার রয়েছে। তবে বেশ কিছু হার্ডওয়্যার রয়েছে যেগুলো ছাড়া কম্পিউটার প্রায় অচল। যেমন;
মাউস পয়েন্ট,
কিবোর্ড,
মনিটর,
সাউন্ড বক্স,
সহ আরো অনেক ধরনের হার্ডওয়্যার রয়েছে সেগুলো সাহায্য ছাড়া কম্পিউটার প্রায় অচল।

Keyboard & Mouse Point

আমার মনে হয় আমাদের মধ্যে সবাই কমবেশি কিবোর্ড এবং মাউস টা চিনে থাকে। এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে মাউস এবং কিবোর্ড চিনে না। মাউস এবং কিবোর্ড হলো এমন দুইটা এক্সটার্নাল হার্ডওয়ার যা ছাড়া কম্পিউটার হোক কিংবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা সম্ভব নয়। আমরা সাধারণত কিবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের টেক্সট এর প্রোগ্রাম লিখে থাকি।

যদি আমাদের কোন কিছু লেখার প্রয়োজন হয় তখন আমরা কীবোর্ডের সাহায্যে খুব সহজে যে কোন কিছু লিখি। যেমন আমরা কোন কিছু সার্চ দিতে গেলে সেই টপিকটা কম্পিউটার কিবোর্ড দিয়ে লিখতে পারি। এছাড়াও কিবোর্ড দিয়ে আরো কিছু কাজ করা যায়। যেমন কীবোর্ডের সাহায্যে কম্পিউটার অন অফ ইত্যাদি করা যায়।

আবার অন্যদিকে মাউস পয়েন্টার দিয়ে আমরা বিভিন্ন কাজ নিজের হাতে পরিচালনা করে থাকি। উদাহরণস্বরূপ আমরা যদি কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রামের ঢুকতে চাই অথবা কম্পিউটারে যদি কোন কিছু ওপেন করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই মাউস পয়েন্টারের প্রয়োজন রয়েছে।

মাউস পয়েন্টার ছাড়া কিন্তু আমরা কম্পিউটারের কোন প্রোগ্রামে বা কোন কিছু তে প্রবেশ করতে পারি না। আর এই জন্যই মাউস পয়েন্টার ছাড়া কম্পিউটার কিন্তু প্রায় অচল বলা যায়। কম্পিউটারের যেকোন প্রোগ্রাম কে নির্দেশ অথবা পরিচালনা করা হয় যার সাহায্যে সেটাকে মূলত মাউস পয়েন্ট বলা হয়।

 

Monitor

আমরা কিন্তু কম্পিউটারে কোন আউটপুট নিজের চোখে দেখতে পারবো না যদি না আমরা কম্পিউটারের মনিটর ব্যবহার করি। এ কারণে আমরা কম্পিউটারের মনিটর ব্যবহার করে থাকি। যার কারণে আমরা কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম পরিচালনা করার জন্য আগে দেখতে পাই।

এর পরে আমরা সেই ফাইল পরিচালনা অথবা প্রবেশ করতে পারি। একটা বার ভাবুন তো আপনি যে কম্পিউটার বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা করবেন। এখন আপনি যদি কিছু দেখতে না পান তাহলে কিভাবে পরিচালনা করবেন।

আর এইজন্যই আপনার প্রয়োজন হবে একটি মনিটরের। মনিটর ছাড়া কম্পিউটার বলা চলে একেবারে অচল। আমাদের যাদের স্মার্ট টিভি অথবা এলইডি টিভি রয়েছে তারা কিন্তু চাইলেই এলইডি টিভি অথবা স্মার্ট টিভি কে মনিটর হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।

Speakers or Sound System

আপনি যখন কম্পিউটারে কোন ভিডিও ফুটেজ অথবা অডিও ফুটেজ শুনতে চাইবেন তখন কিন্তু আপনার স্পিকার অথবা সাউন্ড বক্সের প্রয়োজন পড়বে। সাউন্ড সিস্টেম অথবা স্পিকার বক্স ছাড়া কিন্তু আপনি কখনো কোনো অডিও অথবা ভিডিও এর সাউন্ড শুনতে পারবেন না। এজন্য আপনার কম্পিউটারের সাথে অবশ্যই একটি স্পিকার বক্স বা সাউন্ড সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

এছাড়া বিনোদন, গান শোনা, ভিডিও গেমস খেলা, ভিডিও দেখা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্পিকারের প্রয়োজন রয়েছে। তাই বলা চলে স্পিকার ছাড়াও কম্পিউটার প্রায় অচল। কম্পিউটারকে একটি আউটপুট ডিভাইস অথবা একটি এক্সটার্নাল হার্ডওয়ার্ড বলা হয়ে থাকে। যার সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের সাউন্ড রিলেটেড প্রোগ্রাম পরিচালনা করা যায়।

এগুলো প্রয়োজনীয় কম্পিউটারের হার্ডওয়ার হলেও আরো কিছু ইন্টার্নাল হার্ডওয়ার রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি ইন্টারনাল হার্ডওয়ার হল মাদারবোর্ড, সিপিইউ, র্যাম ও রম, হার্ডড্রাইভ, গ্রাফিক্স কার্ড ইত্যাদি।

মাদারবোর্ড – MotherBoard

মাদারবোর্ড কে কম্পিউটারের circuit board এর ভিতরে থাকা প্রয়োজনীয় সব কমপ্লিমেন্টে স্থাপন করা থাকে। আর সিপিইউ ক্যাবিনেট এর ভেতরে কম্পিউটারের মাদারবোর্ড থাকে।

এই মাদার্বোর্ড কম্পিউটারের বিভিন্ন হার্ডওয়ারের কম্পোনেন্ট এর সাথে কানেক্টর এর ধারা সংযোগ প্রদান করে থাকে।

সিপিইউ – CPU

সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট কে সংক্ষেপে বলা হয়ে থাকে সিপিইউ। সিপিও হল কম্পিউটারের ব্রেইন। মানুষের যেমন ব্রেইন রয়েছে ঠিক তেমনি কম্পিউটারের সিপিইউ যেটা মানুষের ব্রেনের মতো কম্পিউটারে কাজ করে থাকে।

এই সিপিইউ হল কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইন্টার্নাল হার্ডওয়ার। সিপিইউর ধারা কম্পিউটারের সব ধরনের প্রোগ্রাম প্রসেস সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
আবার বিভিন্ন সময়ে সিপিও কে প্রসেসর ও বলা হয়ে থাকে। আর কম্পিউটারের মাদারবোর্ড এর ভিতরেই সাধারণত সিপিইউ ইনস্টল করা হয়।

রেম – RAM

কম্পিউটারের যে মাদারবোর্ড রয়েছে সেই মাদারবোর্ডে রেনডম এক্সেস মেমোরি বা লাগানো থাকে সেটা কি আমরা বেশিরভাগ সময় মেমোরি বলে থাকি। আর এই মেমোরি বা রেম কাজ তো আমরা সবাই কমবেশি জানি।

যেখানে বিভিন্ন ডাটা বা প্রোগ্রাম গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। যাতে পরবর্তী সময়ে সেগুলো ব্যবহার করা যায়। রেম উপরে সাধারণত কম্পিউটারের বিভিন্ন স্পিড এবং কাজ করার গতি নির্ভর করে। যত বেশি রাম হবে ততোই কম্পিউটার বেশি কাজ করতে পারবে।

হার্ডড্রাইভ / হার্ডডিক্স

হার্ডড্রাইভ হলো কম্পিউটার এর একটি ইন্টার্নাল স্টোরেজ অথবা এটাকে মেমোরি ও বলা যায়। যেখানে কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার, ফাইল, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষণ করে রাখা যায়। আর এই জন্য হার্ডডিক্স কে সাধারণত কম্পিউটারের মেমোরি অথবা ইন্টারনাল স্টোরেজ বলা হয়ে থাকে।

এখানে কম্পিউটারে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফাইল সংরক্ষণ করা হয়। সাধারণত একটি কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের সাইজের হার্ড ড্রাইভ অথবা হার্ডডিক্স থাকতে পারে। যেমন; ২০০ গিগাবাইট থেকে শুরু করে দুই টেরা বাইট পর্যন্ত স্টোরেজ থাকে। যত বেশি হার্ডড্রাইভ বা হার্ডডিক্সের সাইজ বাড়বে তত বেশি কম্পিউটারে বিভিন্ন ফাইল, ডকুমেন্ট ও তথ্য ইত্যাদি রাখা যাবে।

গ্রাফিক্স কার্ড – Graphics Card

গ্রাফিক্স কার্ড কে সংক্ষেপে জিপিইউ এবং পুরো নাম গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট বলা হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স কার্ডের মাধ্যমে ডিসপ্লে এর কোয়ালিটি অধিক পরিমাণে ভালো বানানো যায়। আপনার কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ড যত বেশি হবে আপনার কম্পিউটারে তত বেশী হাই কুয়ালিটি ইমেজ, ভিডিও, এনিমেশন ইত্যাদি দেখা যাবে।

প্রতিটা মাদারবোর্ডের সাথে একটি করে গ্রাফিক্স কার্ড এর স্লট থাকে। যেখানে উন্নত মানের গ্রাফিক্সকার্ড যোগ করার মাধ্যমে কম্পিউটার কে আরো উন্নত এবং অধিক কার্যকরী হিসেবে গড়ে তোলা যায়।

যদিও নতুন কোন কম্পিউটারেসিপিও সাথে ছোট্ট একটি ইন্টারনাল গ্রাফিক্স কার্ড থাকে। যেহেতু এটা ফ্রীতে দেওয়া হয় তাই এটার কোয়ালিটি ততটা ভালো নয় যতটা আপনি আশা করছেন। আপনি যদি বেশি আশা করেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে আলাদা কিনে তার পরে যোগ করে গ্রাফিক্স কার্ড বাড়াতে হবে।

হার্ডওয়্যার আপগ্রেড কি?

কম্পিউটার ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়ার কিন্তু মাঝে মাঝে নষ্ট হয়ে যায়। অথবা অনেক ধরনের হার্ডওয়ার রয়েছে যেগুলোর ক্ষমতা কম তাই বেশি পাওয়ারের নতুন হার্ডওয়ারের লাগানোর প্রয়োজন পড়ে। আর যখন এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে তখনই প্রক্রিয়াকে বলা হয় হার্ডওয়্যার আপগ্রেড।

ধরুন আপনার পিসি’র কনফিগারেশন রয়েছে খুব কম। এখন আপনি এটার পারফরম্যান্স এবং স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য হার্ডওয়ারগুলো আপগ্রেড করে নিতে পারবেন। যার কারণে আপনি আগের তুলনায় অনেক পরিমাণে বেশি পারফরম্যান্স ক্ষমতা এবং স্পিড পাবেন।

শেষ কথা

এখন হয়তো আপনি জানেন যে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কি এবং কম্পিউটার হার্ডওয়ার ছাড়া কেনই বা কোন কাজ করা যায় না। আর হ্যাঁ আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটির কোথাও কোন কিছু বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করি আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আর আপনার কোন আত্মীয় স্বজন অথবা বন্ধু বান্ধব যদি হার্ডওয়ার সম্পর্কে এসব তথ্য গুলো না জেনে থাকে তাহলে তাদের সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন। এতে করে তারা অনেক উপকৃত হবে এবং জানতে পারবে হার্ডওয়ার কি এবং হার্ডওয়্যার কি কি কাজে লাগে।

তো বন্ধুরা কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কি এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কি কি কাজে প্রয়োজন হয়। এইসব বিষয় নিয়ে আজকের মতো এই পর্যন্তই ছিল। দেখা হবে আবার নতুন কোন আর্টিকেলে নতুন কোন বিষয় নিয়ে ততক্ষণ বন্ধু আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ

 

Updated: April 9, 2022 — 10:48 pm